সংক্ষিপ্ত
- ১৯৯৯ সালের অ্যাডিলেড টেস্ট সচিনের বিতর্কিত আউট
- গ্লেন ম্যাকগ্রার বল ডাক করতে গিয়ে সচিনের কাধে লাগে
- অস্ট্রেলিয়ার আপিলে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার ড্যারিল হার্পার
- ২১ বছর পরও নিজের সিদ্ধান্তকে নির্ভুল বলে মনে করেন প্রাক্তন আম্পায়ার
১৯৯৯ সালের ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। সচিন তেন্ডুলকরের নেতৃত্বে সেবার অজিভূমে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই সফরের অ্যাডিলেড টেস্টে সচিনের আউট নিয়ে হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। সচিন তেন্ডুলকরকে লেগ বিফোর উইকেট আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার ড্যারিল হার্পার। যদিও বিশ্ব জুড়ে মাস্চার ভক্তরা সেই আউটকে কটাক্ষ করে বলেন ‘শোল্ডার বিফোর উইকেট’। আম্পায়ার ড্যারিল হার্পারের সমালোচনাও কম হয়নি সেই সময়। যদিও ঘটনার ২০ বছর পরও সেদিনের আউট নিয়ে কোনও দ্বিধায় নেই হার্পার। এখনও বিশ্বাস করেন নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃহঠাৎ কেনও কার্লোস ব্রাথওয়েটকে ব্যালন ডি'অর দেওয়ার দাবি জানাল আইসিসি
অ্যাডিলেড টেস্ট দুরন্ত ছন্দে বল করছিলেন গ্লেন ম্যাক গ্রা। সচিন নামতেই শট পিচ বল করার পরিকল্পনা নেয় অসি তারকা পেসার। দু-একটি বাউন্সার ছেড়েও দেন লিটল মাস্টার। কিন্তু একটি শট পিচ বল সচিন ডাক করতে যায়। কিন্তু আশা অনুযায়ী বলটা না লাফিয়ে নীচুই থাকে। ফলে বলের লাইন থেকে নিজেকে সরাতে পারেননি সচিন। বাউন্সার ভেবে বসতে গিয়ে বল লাগে সচিনের কাধে। তখনই ম্যাকগ্রা সহ অস্ট্রেলিয়া দল আউটের আবেদন জানান। কিছুক্ষণ ভাবার পর সচিনকে আউট দেন ড্যারিল হার্পার। আউট সিদ্ধান্ত দেখে সচিনও কিছুটা অবাক হয়ে প্যাভেলিয়নের পথে রওনা দেন। তারপরই হার্পারের ওই সিদ্ধান্ত আউট কি আউট না তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। যা এখনও অনেকই মনে করেন সেদিন নট আউট ছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত এখনও অনড় ড্যারিল হার্পার। ১৯৯৯ সালের তার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন,'জীবনের প্রতিটি দিনই ওই আউটের কথা মাথায় আসে। এমন নয় যে দুঃস্বপ্ন তাড়া করে আসে বা ঘুম হয় না। ব্যাপারটা তা নয়। গ্যারাজে যখন যাই তখন সচিন ও ম্যাকগ্রার বিশাল বড় ক্যানভাস প্রিন্ট চোখের সামনে থাকে। যা বল লাগার পরই নেওয়া হয়েছিল। আপনারা হয়তো হতাশ হবেন, কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি এখনও দারুণ ভাবে গর্বিত। কোনও ভয় বা সুবিধা পাওয়ার আশা ছিল না ওই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে। আইসিসি অফিসিয়ালদের কাছে শুনেছি যে ম্যাচের পর আমার পারফরম্যান্স যাচাইয়ের সময় সচিন ওই আউটের কথা তোলেনি। তবে উপলব্ধি করেছিলাম যে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের ছয় ভাগের একভাগ মানুষ নাম জানল আমার। আর তারা সম্ভবত আমার প্রশংসা করছিল না। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও আত্মবিশ্বাসী।'
আরও পড়ুনঃসুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাগ্য,ধোঁয়াশায় বিসিসিআই
আরও পড়ুূনঃ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ভোলবদল,বিজেপি ছাড়লেন মেহতাব হোসেন, বিপাকে পদ্ম শিবির