সংক্ষিপ্ত
- আইসিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর
- তারপরই শশাঙ্ক মনোহরকে আক্রমণ করলেন এন শ্রীনিবাসন
- ভারতীয় ক্রিকেটের বিশ্ব মঞ্চে অনেক ক্ষতি করেছেন শশাঙ্ক
- তার পদত্যাগে সকলেই খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীনিবাসন
বুধবারই আইসিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। সরে দাঁড়ানোর পর কাটেনি ২৪ ঘণ্টাও। তার আগেই বিদায়ী আইসিসি চেয়ারম্যান কে চাচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন আরেক প্রাক্তন আইসিসি চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন। শ্রীনিবাসনের দাবি, শশাঙ্ক মনোহর একজন সুযোগ-সন্ধানী। প্রথমে ভারতীয় বোর্ডকে ব্যবহার করে আইসিসিতে গেল, তারপর আইসিসিকে ব্যবহার করে ভারতীয় বোর্ডকেই আক্রমণ করেছে। শশাঙ্ক ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করছেন বলেও দাবি করেছেন শ্রীনিবাসন।
আরও পড়ুনঃকরোনা মুক্ত নোভাক জোকোভিচ, স্বস্তি টেনিস বিশ্বে
শশাঙ্কের প্রতি বেনজিরভাবে আক্রমণ শানিয়ে এন শ্রীনিবাসন বলেন,'সৌরভের নেতৃত্বে নতুন কমিটি বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর মনোহর বুঝে গিয়েছে ওর পক্ষে আর আইসিসির দায়িত্বে থাকা সম্ভব নয়। নতুন বিসিসিআই কমিটির কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাবে না বুঝেই পালিয়ে যাচ্ছে ও। শশাঙ্ক সরে যাওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই খুশি হবে।ওর পদত্যাগ ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য স্বস্তির খবর। ও জানেই না কীভাবে লড়াই করতে হয়। ২০১৫-তে ও বিসিসিআইকে খুব খারাপ পরিস্থিতিতে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিল। আবার এখন এত খারাপ পরিস্থিতিতে আইসিসিকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। তবে, ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি, এরম একজন লোক আর আইসিসির সঙ্গে যুক্ত নয়, সেটা জেনে।'
আরও পড়ুনঃপরামর্শ পছন্দ না হওয়ায় কোচের গলায় ছুরি ধরেছিলেন পাক তারকা ইউনিস খান
আরও পড়ুনঃবিশ্বকাপের মাঝেই স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম উপভোগ,আলমারীতে বউ লুকিয়ে রাখতেন সাকলিন মুস্তাক
এখানেই থামেননি শ্রীনিবাসন। শশাঙ্ক মনোহর ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে কার্যত বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন শ্রীনি। তিনি বলেন,'আমার ব্যক্তিগত মতামত শশাঙ্ক ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করেছে। আমার মনে হয়, ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত যে কেউ ওর পদত্যাগে খুশিই হবে। ও আর্থিকভাবে আমাদের ক্ষতি করেছে। ও আইসিসিতে ভারতীয় বোর্ডের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। বহু ক্ষতি করেছে।' শশাঙ্কের এই চার বছরের কার্যকালে সে অর্থে আইসিসিতে ভারত বাড়তি কোনও সুবিধা পায়নি। উলটে বিসিসিআইয়ের গুরুত্ব কমে গিয়েছে। আইসিসি থেকে প্রাপ্ত অর্থে বিসিসিআইয়ের অংশও কমেছে। খর্ব করা হয়েছে ভারতীয় বোর্ডের ক্ষমতাও। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি শ্রীনিবাসন।