সংক্ষিপ্ত

  • অতীতে আজকের দিনেই উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করেছিলেন তিন কিংবদন্তি
  • ১৯৫৪ সালেই আজকের দিনে ডেবিউ হয়েছিল স্যার গারফিল্ড সোবার্সের
  • ১৯৯৯ এ আজকের দিনে বার্বাডোসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৫৩ রান করেছিলেন লারা
  • ২০১১ তে আজকের দিনেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮৫ রান করেন সচিন
     

মার্চের ৩০ তারিখটি ক্রিকেট ভক্তদের মনে একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আজকের দিনে ঘটেছিল কিছু বিশেষ ঘটনা কিছু বিশেষ ক্রিকেটারদের কেন্দ্র করে যা মার্চ মাসের ৩০ তারিখকে ক্রিকেট ভক্তদের মনে একটি আলাদা জায়গা করে দিয়েছে। সর্বকালের সেরাদের মধ্যে থেকে গারফিল্ড সোবার্স, ব্রায়ান লারা এবং সচিন টেন্ডুলকারকে একটু অদৃশ্য সুতোয় বেঁধে দিয়েছে ৩০শে মার্চ। কিভাবে? আসুন দেখে নেওয়া যাক --

আরও পড়ুনঃঘোষিত হল অলিম্পিকের নতুন সময়সূচি, শুরু পরের বছর ২৩ জুলাই, শেষ ৮ অগাস্ট

আজ থেকে ৬৬ বছর আগে ১৯৫৪ সালে আজকের দিনেই জামাইকার মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডেবিউ হয়েছিল স্যার গারফিল্ড সোবার্সের। সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানের বিনিময়ে চার উইকেট তুলেছিলেন এবং দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪০ রান করেছিলেন। দু দশক বাদে যখন তিনি অবসর নেন তখন তার নামের পাশে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারের ট্যাগের পাশাপাশি ছিল ৮০০০ রান এবং ২৩৫ টি উইকেট।

আরও পড়ুনঃকরোনার জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন ইসিবি, কোপ পড়তে পারে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের বেতনে

১৯৯৯ সালে আজকের দিনে বার্বাডোসে নিজের টেস্ট কেরিয়ারের সেরা ইনিংস গুলির মধ্যে একটি খেলেছিলেন ক্রিকেটের রাজপুত্র বলে পরিচিত ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান চার্লস লারা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ ইনিংসে ৩০৮ রান তাড়া করতে নেমে ১০৫ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে ধুঁকছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে টেল-এন্ডারদের আগলে রেখে অপরাজিত ১৫৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১ উইকেটে জয় এনে দেন লারা। দুই দলের কোন খেলোয়াড়ই দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রানের গন্ডি টপকাতে পারেনি, সেখানে দাঁড়িয়ে লারার এই ইনিংসের প্রশংসা করতে কোনও বিশেষণই যথেষ্ট নয়। 

আরও ভিডিওঃময়দানের অন্যান্য ক্লাবের মালিদের ত্রাণ সামগ্রি দিল ইষ্টবেঙ্গল

৯ বছর আগে আজকের দিনেই বিশ্বকাপে আরও একবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর। মোহালিতে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অসাধারণ শুরু করেও আউট হয়ে যান বীরেন্দ্র সেওবাগ। নিজের প্রান্ত আগলে রান করে যেতে থাকেন সচিন। তার বেশ কয়েকটি ক্যাচও ফেলেন পাকিস্তানি ফিল্ডাররা। একবার এলবিডব্লিউ হলেও ডিআরএস-এর সৌজন্যে বেঁচে যান তিনি। যখন সবাই ভাবছে নিজের সচিনের শততম শতরান শুধু সময়ের অপেক্ষা সেই সময় শাহীদ আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে শতরানের থেকে মাত্র ১৫ রান দূরে থামতে হয় মাস্টার ব্লাস্টারকে। সেই ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিল ভারতের মিডল অর্ডার। সুরেশ রায়নার ৩৬ ছাড়া আর কেউই ভরসা দিতে পারেননি। ভারতের করা ২৬০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারায় ৪৪ রানে। তারপর থেকে নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট হারাতে হারাতে ক্রমশ ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় পাকিস্তান। মিসবা-উল-হক একা কিছুটা লড়াই করলেও শেষমেশ পাকিস্তানকে হারতে হয় ২৯ রানে।