সংক্ষিপ্ত
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১-এ (ICC T20 World Cup 2021) পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ডের (Pakistan vs New Zealand) ম্যাচ। দ্বিতীয় ম্য়াচেও জয় পেল বাবর আজমের দল। প্রথমে ব্যাট করে ১৩৪ রান করে কেন উইলিয়ামসনের (Kane Williamson) দল। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচে জিতে নেয় বাবর আজমের (Babar Azam)দল।
ভারতের পর নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) হেলায় হারাল পাকিস্তান (Pakistan)। ব্যাটে-বলে ফের একবার দুরন্ত পারফর্ম করল বাবর আজমের (Babar Azam)দল। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৩৪ রানেই আটকে যায় কেন উইলিয়ামসনের (Kane Williamson)দলের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে অনবদ্য বোলিং করেন হ্যারিস রউফ (Haris Rauf)। নিউজল্যান্ডের হয়ে কেউ বড় স্কোর করতে না পারলেও কিছুটা লড়াই করেন ডায়ার্ল মিচেল, কেন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়েরা। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে এদিন নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও মহম্মদ রিজওয়ানের (Mohammad Rizwan) ৩৩ ও শেষের দিকে শোয়েব মালিকের (Shoaib Malik)ঝোড়ো ২৬ এবং আসিফ আলির (Asif Ali) বিধ্বংসী ২৭ রানের সৌজন্যে ৮ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচে জিতে নেয় পাকিস্তান।
এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাবর আজম। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ডায়ার্ল মিচেল। ওপেনিং জুটিতে ৩৬ রানের পার্টনারশিপও করেন দুজনে। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের। ১৭ রান করে হ্য়ারিশ রউফের বলে বোল্ড হন গাপটিল। এরপরই নিয়মত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কিউই ব্যাটিং লাইনআপ। দলের ৫৪ রানের মাথায় ইমাদ ওয়াসিমের বলে ২৭ রান করে আউট হন মিচেল। জিমি নিশাম মাত্র ১ করে মহম্মদ হাফিজের শিকার হন। এরপর ইনিংসের রাশ ধরার চেষ্টা করেন ডেভন কনওয়ে ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৩৪ রানের পার্টনারশিপ করার পর দলের ৯০ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের। দুর্ভাগ্যবশত ২৫ রান করে রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান কেন উইলিয়ামসন।
এরপর ডেভন কনওয়ে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ সফল হননি। ২৭ রান করে হ্যারিস রউফের বলে আউট হন তিনি। এরপর গ্লেন ফিলিপস ১৩ রান করে আউট হন রউফের বলে। ১১৬ রানেই পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট পড়ে কিউইদের। এরপর ১২৫ রানে সপ্তম উইকেটের পতন হয়। ৮ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হন টিম সেইফার্ট। ২০ তম ওভারের শেষ বলে স্যান্টনারকে বোল্ড করেন রউফ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৪ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিমস। হ্যারিস রউফের ৪ উইকেট ছাড়াও একটি করে উইকেট পান শাহিন আফ্রিদি, ইমাদ ওয়াসিম ও মহম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ১৩৫ রান।
রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ২৮ রানের পার্টনারশিপ করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। যদিও এদিন ব্যাট হাতে রান পাননি পাক অধিনায়ক। মাত্র ৯ রান করেই টিম সাউদির বলে আউট হন বাবর আজম। এরপর ক্রিজে আসলেন ফাকর জামান। কিন্তু তিনিও বড় রান করতে ব্যর্থ হন। দলের ৪৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে পাকিস্তানের। ১১ রান করে ইস সোধির বলে আউট হন ফাকর জামান। তবে একদিক থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন রিজওয়ান। বেশ কিছু অনবদ্য শটও খেলেন তিনি। অপরদিকে মহম্মদ হাফিজও এদিন নিরাশ করেন পাক সমর্থকদের। দলের ৬৩ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট পড়ে পাকিস্তানের। ১১ রান করে মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হন হাফিজ। এরপরই ৬৯ রানের মাথায় আউট হন রিজওয়ান। ৩৩ রান করে সোধির শিকার হন তিনি।
একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে পাকিস্তানমের উপর । কমতে থাকে রান রেট। বাড়তে থাকে ওভার পিছু রানের প্রয়োজনীয়তা। ইমাদ ওয়াসিমও বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি। ৮৭ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে পাকিস্তানের। ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন ইমাদ। এরপর পাক ইনিংসের রাশ ধরেন শোয়েব মালিক ও আসিফ আলি। প্রয়োজনীয় রান রেট একসময় প্রায় ১০-এ পৌছে গিয়েছিল। সেখান থেকে অনবদ্য ইনিমস খেলেন দুই পাক তারকা। শোয়েব মালিকের খেলা দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী সানিয়ে মির্জাও। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ২৬ রান খেলে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক ও ১২ বলে ২৭ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন আসিফ আলি। পরপর ২ ম্যাচে জয় পেয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে রাখল পাকিস্তান।