সংক্ষিপ্ত

  • নিউজিল্যান্ড-এর বিরুদ্ধে ফের অবিশ্বাস্য জয়
  • পর পর দুই ম্যাচে সুপার ওভারে বাজিমাত 
  • হারা ম্যাচ জিতে সিরিজে ৪-০ এগিয়ে ভারত
  • নতুন শিক্ষা পেলেন ভারত অধিনায়ক

হারার আগে হারতে নেই। দীর্ঘ ক্রিকেট কেরিয়ারে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে শেষ দু'টি ম্যাচে এই শিক্ষাই পেলেন বিরাট কোহলি। হ্যামিলটন- এর পরে ওয়েলিংটনেও পর পর দুই ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে দল ঘুরে দাঁড়ানোর পর নিজেই এ কথা জানালেন গর্বিত ভারত অধিনায়ক। দুই ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় যেন কোহলির নিজেরও বিশ্বাস হচ্ছে না। 

হ্যামিলটন-এ তৃতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ড- এর প্রয়োজন ছিল ৯ রান। সেখান থেকে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যান মহম্মদ শামি। সুপার ওভারেও শেষ দু' বলে পর পর ছয় এনে দলকে জয় এনে দেন রোহিত শর্মা। 

হ্যামিলটন-এর থেকেও ওয়েলিংটনে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ ৬' বলে তাদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭ রান। হাতে ছিল সাত উইকেট। সেই অবস্থা থেকেও শার্দুল ঠাকুরের দুরন্ত বোলিংয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যায় ভারত। সুপার ওভারে ভারতকে জেতান কে এল রাহুল, বিরাট কোহলি। 

আরও পড়ুন- ছ' বলে চার উইকেট, সুপার ওভারে হারা ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় ভারতের

দুই ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে দলের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের অভিভূত ভারত অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে গর্বিত কোহলি বলেন, 'এই সফরে আমি নতুন একটা জিনিস শিখলাম। তা হলে এটাই যে মাঠে সবসময় শান্ত থাকতে হয়। যা ঘটছে সেদিকে নজর রাখতে হবে। আর সুযোগ এলে তা কাজে লাগাতে হবে। পর পর দুই ম্যাচে এর থেকে ভাল সমাপতন দর্শকরা আশা করতে পারেন না। আমরা এর আগে সুপার ওভার কখনও খেলিনি। আর এখানে পর পর দু' ম্যাচে খেলে ফেললাম।'

এ দিন প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ তোলে ভারত। জবাবে ১৬৫ রানেই শেষ হয় কিউইদের ইনিংস। এর পর সুপার ওভারে ভারত জয় তুলে নেয়। সুপার ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। কে এল রাহুলের উইকেট হারালেও ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। 

এ দিনের ম্যাচে চূড়ান্ত নাটক অপেক্ষা করছিল নিউজিল্যান্ড ইনিংসের কুড়িতম ওভারে। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন নিউজিল্যান্ড-এর দুই জমে যাওয়া ব্যাটসম্যান রস টেলর এবং সেইফার্ট। ছ' বলে তখন নিউজিল্যান্ড-এর প্রয়োজন সাত রান, হাতে সাত উইকেট। কিন্তু এই নিউজিল্যান্ড দলটা যেন জিততেই ভুলে গিয়েছে। কুড়িতম ওভারের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরের বলে বড় শট নিতে গিয়ে আউট হন টেলর। পরের বলে চার মারেন ড্যারিল মিচেল। এর পরের বলেই রান আউট হন সেইফার্ট। চতুর্থ বলে হয় এক রান। পঞ্চম বলে ড্যারিল মিচেলকে ফেরান শার্দুল। শেষ বলে ২ রান দরকার ছিল  নিউজিল্যান্ড-এর। কিন্তু কোহলির দুরন্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন স্যান্টনার। টাই হয়ে যায় ম্যাচ।