সংক্ষিপ্ত

অনুরাগীদের উদ্দেশে নুসরতের বার্তা, ‘ঢাকের আওয়াজ মিলিয়ে গেল পুজো হল শেষ... প্রামে শুধু জাগিয়ে রেখো এই খুশির রেশ’। এ ভাবেই কবিতার ছন্দে সবাইকে শুভ বিজয়া জানিয়েছেন তিনি। পুজোর সব কটি দিনই নুসরত এবং যশ দাশগুপ্তকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে।
 

দুই দেবীই মনের মতো করে সেজেছেন। দুই দেবীই আজ সিঁদুররাঙা! ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, নুসরত জাহান। দশমীতে দুই তারকাই মেতেছিলেন দেবীবরণ, সিঁদুরখেলায়। তার রেশ তাঁদের শরীরে, সাজে। ঋতুপর্ণা এ দিন লাল শিফনে উচ্ছ্বল। সঙ্গে ব্রোকেডের হাতাকাটা ব্লাউজ। সোনার গয়নায় ঝলমলে টলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। এই সাজেই তাঁকে দেখা যায় মণ্ডপে। সঙ্গী নানা বয়সের নারী। তাঁদের সঙ্গেই তিনি মেতে ওঠেন সিঁদুরখেলায়। নেপথ্যে তখন বাজছে ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ ছবির ‘ঢাকের তালে কোমর দোলে’। ঋতুপর্ণাকে রোখে কে!

হাস্যে, লাস্যে, নাচের ছন্দে, খোলা চুল, হালকা রূপটানে নায়িকা নিমেষে বদলে দিলেন প্রতিমা বিদায়ের বিষণ্ণ মুহূর্তও। তাঁকে দেখে ছন্দে ছন্দে মেতে উঠলেন বাকিরাও। দেবীবরণ পর্ব জমজমাট। অভিনেত্রীর অনুরাগীরাও খুশি তাঁর এই সনাতনী সাজ দেখে। ঋতুপর্ণা মানেই এক মুঠো খুশির আমেজ। মনখারাপের দিনেও এ ভাবেই তিনি সবাইকে যেন ইতিবাচক থাকার ইঙ্গিত দিলেন। কারণ তিনি জানেন, শেষ না হলে সৃষ্টি থমকে যাবে। দেখতে দেখতে দিন কাটবে। ফের ঘুরে আসবে দেবীপক্ষ। ঋতুপর্ণা পরে হাজরা পার্কে, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দেবীবরণেও যোগ দেন। সেখানে মন্ত্রীপুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সিঁদুরখেলায় মাতেন।

প্রায় একই সাজ, একই সজ্জায় অপরূপা সাংসাদ, তারকা নুসরত জাহানও। নুসরত মানেই বিতর্ক। চলতি বছরেও ঢাক বাজিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তোপের মুখে পড়েন। নুসরতের তাতে থোড়াই কেয়ার। তিনি বরাবর নিজের শর্তে বাঁচেন। এ বারেও তাই পুজোর প্রতিটি দিন তিনি হিন্দু নারীর সাজেই নিজেকে সাজিয়েছেন। সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর। কপালে সিঁদুর সিঁদুর টিপ। হাতে শাঁখা, পলা, লোহা। নানা রকমের শাড়ি তাঁর সাজ অনুষঙ্গ। দশমীতে অল্প বদল। নুসরত চোখ ধাঁধানো লাল-সাদা লেহেঙ্গা-চোলিতে। সঙ্গে মানানসই গয়না। এ দিন সিঁথির সঙ্গে তাঁর গালও রাঙা সিঁদুরের ছোঁয়ায়।

আরও পড়ুনদশমী মানে মিষ্টি মুখ, এবার মিষ্টি বানান নিজের হাতে, রইল পাঁচটি মিষ্টির রেসিপি

অনুরাগীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘ঢাকের আওয়াজ মিলিয়ে গেল পুজো হল শেষ... প্রামে শুধু জাগিয়ে রেখো এই খুশির রেশ’। এ ভাবেই কবিতার ছন্দে সবাইকে শুভ বিজয়া জানিয়েছেন তিনি। পুজোর সব কটি দিনই নুসরত এবং যশ দাশগুপ্তকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। তাঁরা মণ্ডপে গিয়েছেন। ঢাক বাজিয়েছেন। রাত-পার্টিতেও মেতেছিলেন সহ-অভিনেতা, অভিনেত্রীদের সঙ্গে। যদিও তাঁদের সঙ্গে তাঁদের দুই সন্তানকে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুনপান্তা ভাত, কচু শাক খেয়ে বিদায় নেন টাকি রাজবাড়ির দুর্গা, বিসর্জনের আগে আজ সেখানে বরণের তোড়জোড়

নুসরত এর আগে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তিনি এবং যশ মিডিয়া, প্রচারের থেকে দূরে রেখেই বড় করতে চান তাঁদের দুই ছেলেকে। তারকা সন্তান হিসেবে নয়, তারা বেড়ে উঠুক আর পাঁচ জন শিশুর মতোই। তাই চট করে ক্যামেরার মুখোমুখি হয় না তারা। শুধু দুর্গাপুজো নয়, হিন্দুদের সমস্ত উৎসবেই অংশ নেন নুসরত। এর আগে নিখিল জৈনের সঙ্গে দাম্পত্য যাপনের সময়েও তিনি হাতে চুড়া পরতেন, গলায় মঙ্গলসূত্র। তাঁর এই সাজে অসন্তুষ্ট ধর্মগুরুরা রীতিমতো ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রকাশ্যে। নুসরত তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি রথেও তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। একাধিক বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁকে রথের রশি টানতে দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন দশমীর বিদায় বেলা, সাঙ্গ হল সিঁদুর খেলা, রাঙা আভায় মেতে উঠলেন বাগবাজার সার্বজনীনের মহিলারা