সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যের নজির মিলবে ঠাকুরপুকুর এসবিআই পার্কের পুজোতে। লোক শিল্পকে সকলের সামনে তুলে ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন ঠাকুরপুকুর এসবিআই পার্কের পুজো কমিটির সদস্যরা। সেখানে এবছরের পুজোর থিম ‘লোকশিল্প প্রবাহ’।

বাংলার লোকশিল্পকলা এক বিশেষ নিদর্শন রাখে। বাউল, হাপু গান, ভাটিয়ালি, গম্ভীরা, কবিগান, ভাওয়াইয়া, জাগের গান, টপ্পা গান, আখড়াই গান, হোলবোল, জাওয়া গান ইত্যাদি গানের ধারা পশ্চিমবঙ্গের লৌকিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। এবছর পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যের নজির মিলবে ঠাকুরপুকুর এসবিআই পার্কের পুজোতে। সেখানে এবছরের পুজোর থিম ‘লোকশিল্প প্রবাহ’।

লোক শিল্প আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু, আধুনিকতার দৌড়ে অনেক জায়গায় থেকে বিলিন হয়ে যাচ্ছে এই শিল্প। এই শিল্পকে সকলের সামনে তুলে ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন ঠাকুরপুকুর এসবিআই পার্কের পুজো কমিটির সদস্যরা। তাই এবছরে তাদের থিম ‘লোকশিল্প প্রবাহ’। এই থিমের ওপর ভিত্তি করে নির্মান হচ্ছে মন্ডপ। প্রতি বছরই ঠাকুরপুকুর এসবিআই পার্কের পুজো দৃষ্টি কাড়ে সকলের। গত দুবছর করোনার কথা মাথায় রেখে তেমন জাঁকজমক পূর্ণ পুজো করেননি তারা। কিন্তু, এবার আবার পুরনো উদ্যোমে ফিরতে চলেছে ঠাকুরপুকুর এসবিআই পার্কের পুজো। এমনই জানানো হয় কমিটির পক্ষ থেকে। 

চলতি বছরে ৫২ -তে পা দেবে চলেছে ঠাকুরপুকুর এসবিআই পার্কের দুর্গোৎসব। সে কারণে অবশ্যই থাকছে বিশেষ চমক। দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে মন্ডপ সজ্জা থেকে প্রতিমা নির্মাণ সব দিকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজর। পুরো দমে চলছে মন্ডপ নির্মানের কাজ। প্রতি বছরের মতো এবছরও মন্ডপ সজ্জা ও প্রতিমা তৈরির কাজে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন শিল্পী পার্থ দাশগুপ্ত। বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে প্রতি মুহূর্তে চলছে কঠিন পরিশ্রম। তৃতীয়াতে মন্ডপ উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।  

দুর্গোৎসব ছাড়াও নানান সামাজ সেবা মূলক কাজের কারণে বিশেষ নিদর্শন গড়ে চলেছে ঠাকুরপুকুর এসবিআই পার্কের পুজো। গত এক বছরে কমিটির পক্ষ থেকে ৩৫০ দরিদ্র মানুষের বিনামূল্যে ছানি আপারেশন করানো হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। তেমনই ২ জন ব্যক্তির পেসমেকার বসিয়েছেন তারা। এর সঙ্গে অন্তত ১০০ জনকে চশমা প্রদান করা হয়েছে বলে জানানো হয় ঠাকুরপুকুর এসবিআই পার্কের পুজো কমিটির পক্ষ থেকে।    

সে যাই হোক, আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরই মর্ত্যে আসবেন মা দুর্গো। সর্বত্র চলছে তারই প্রস্তুতি। সঠিক সময়ের মধ্যে প্যান্ডেল নির্মাণে কাজ সম্পূর্ণ করতে কঠিন পরিশ্রম করে চলেছেনল সকল শিল্পীরা। প্যান্ডেল নির্মানের কাজ, লাইটের কাজ এমনকী পুজোর যাবতীয় আয়োজনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। সময় মতো সব কাজ শেষ করতে মরিয়া সকলে। 
 

আরও পড়ুন- কুমারটুলি সর্বজনীনের পুজোয় এবার 'নাম'এর যাদু, ৯২ বছরে দর্শকদের নতুন কিছু দিতে তৈরি

আরও পড়ুন- ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশেষ চমক বেহালার দেবদারু ফটকের পুজো মণ্ডপে, এবছরের থিম আগ্রাসন

আরও পড়ুন- আলো আসুক আলোকশিল্পীদের জীবনে- নয়া ভাবনায় পুজোর প্রস্তুতি ৬৪ পল্লীতে