ভোটের দিন থেকেই শুরু হয়েছে ব্যালটের অবমাননা। কোথায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল ব্যালট বাক্স। কোথাও আবার ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আর গণনার দিন তো সব কিছু চাড়িয়ে গেল।
যুদ্ধক্ষেত্র নাকি ভোটগণনা কেন্দ্র, প্রশ্ন তুলছেন তারা। হুগলি জেলার ১৮টি গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের ঠিক সামনে, যুদ্ধক্ষেত্রে মতো তৈরি করা হয়েছে বাঙ্কার।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গণনার দিনও ডায়মন্ড হারবার মডেল পুরোদমে চলছে। তৃণমূলের গুন্ডারা বিরোধী এজেন্ট ও প্রার্থীদের বাধা দিয়ে ভোট লুট করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে।
বিজেপি সূত্রের খবর বুধবারের মধ্যে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধিরা কলকাতায় পৌঁছে যাবেন। প্রথম পর্যায়ে তারা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
দিল্লি থেকে ফিরেই রাজ্যপাল গেলেন ভাঙড়ে। সেখান থেকে তাঁর বাসন্তী আর ক্যানিং যাওয়ার কথা রয়েছে। রাজ্যপাল হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই গণনা শুরু হয়েছে। তবে অশান্তিছবি এখনও অব্যাহত। গণনাকেন্দ্র থেকে শুরু করে অন্যত্র হিংসার ঘটনা ঘটছে। আক্রান্তের তালিকায় বিরোধীরা।
অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি রাজ্যের চলা রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হয়েছে। তবে তার আগেই বড় সাফল্য ঘাসফুল শিবিরে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ধারা অব্যাহত।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি অর্থাৎ ৮২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীয় সক্রিয় সদস্য মোতায়েন করা হবে। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও। প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য বসান হয়েছে সিসিটিভিও।
রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩-এর ফলাফলে নজর দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। ঘাসফুল ফের ফুটবে নাকি গেরুয়া শিবির শেষ হাসি হাসবে, সেটাই এখন দেখার। এক নজরে দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলির পঞ্চায়েত ভোটের ফল।