সংক্ষিপ্ত

আরজিকর আন্দোলনে যোগ নিয়ে ব্যাপক ট্রোলিং! অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী

আরজিকর মামলায় প্রথম থেকেই পরিচিত মুখ হলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। আন্দোলনে নেমে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সরকারি পুরষ্কারও ফিরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু সম্পর্তি তাঁকে নিয়ে একের পর এক ট্রোলিং হচ্ছে সমাজ মাধ্যমে। "তিনি নাকি আরজিকরের ঘটনার মাধ্যমে নিজের বিজ্ঞাপন করেছেন" এমনই কথা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। এবার এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

সুদীপ্তা জানান, " আমার গোচরে আসেনি। আমি বুঝতে পারিনি সে রকম ভাবে। সমাজমাধ্যমে অবশ্য আমাকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। আমি নাকি প্রতিবাদ করে, আরজি কর আন্দোলনে মুখ দেখিয়ে টেলিভিশনের কাজ জোগাড় করেছি। আমি নাকি ‘দিদি নং ২’ হয়েছি। কিঞ্জলের (কিঞ্জল নন্দ) সমালোচনা করতে গিয়ে আমাকেও আক্রমণ করেছে সমাজমাধ্যমে।

তা ছাড়া, আমরা তো পাকাপাকি কোথাও চাকরি করি না। আমাদের পেশায় যা যা প্রয়োজন, তা এমনিতেই নেই আমার। যেমন, নায়িকাসুলভ চেহারা, বাজার ধরে রাখার ক্ষমতা। উল্টে আমি সোজাসুজি কথা বলে দিই। প্রতিবাদ করি, পথে নেমে আন্দোলন করি।

খুব হতাশাজনক। এটার অপেক্ষাতেই থাকে সকলে। জানে এক- দু’দিন বলবে তার পর যে কে সেই! অন্য দিকে, মানুষ কি সমস্ত কাজ ফেলে সারা ক্ষণ সিস্টেমকে বলে যাবে, তোমার কী করা দরকার। সিস্টেম তো সুযোগ নেবেই!

আমি আন্দোলনে একা ছিলাম না। প্রচুর মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। আমাকে অন্ধকার থেকে খুঁজে খুঁজে বার করা হয়েছে। আমি হাসলেও খবর, কাঁদলেও খবর। আমার ভাল লাগে না। আমি শুধু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বাড়তি কিছুই করিনি। একটা উদাহরণ দিতে চাই। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় পুজোর আগে যে ধরনের ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করে, এ বছর তো সে রকম কিছুই করেনি। ওর কাছে আসেনি সেই ব্র্যান্ড। ক’টা মানুষ সেই খোঁজ রাখে? ওরও ক্ষতি হল। আজ কেউ স্বীকার করবে না কিন্তু ‘টেক্কা’ নন্দনে কেন মুক্তি পেল না?

আজ কিঞ্জলকে নিয়ে এত সমালোচনা হচ্ছে। ও যদি কাউকে আগে থেকে শুটিংয়ের তারিখ দিয়ে রাখে, ও সেই শুটিংয়ে যেতে বাধ্য। এটা তো ওর পেশা। আমার বাবার মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় আমি ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’-এর শুটিং শুরু করেছিলাম। আমি কি বলতে পেরেছিলাম, এখন আমি শোক পালন করছি। ১৫ দিন পরে শুটিং করব। এটা কি হয়? "