সংক্ষিপ্ত
এখনও পর্যন্ত সি প্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা সেন। এখনও পর্যন্ত বিপদমুক্ত নন তিনি। ফের শরীরে নতুন সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। এই খবর শোনা মাত্রই উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে ভক্তদের মধ্যে।
চোখের পলকে যেন কেটে গেল এক সপ্তাহ। হাসপাতালের বিছানায় অদম্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা । সকলের মুখেই এখন একটাই প্রার্থনা ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট। দিনকয়েক আগেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, সংজ্ঞা না ফিরলেও চোখ খোলার চেষ্টা করছেন ঐন্দ্রিলা। তার শরীরের বাঁ দিকে সাড় ফিরেছে। বাঁ চোখ, বাঁ কাঁধও নাকি সামান্য নাড়াতে পারছেন অভিনেত্রী। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ধীরে ধীরে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট কমিয়ে ঐন্দ্রিলা যেন স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে সাত দিন কেটে যাওয়ার পরও শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনও উন্নতি হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সি প্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা । এখনও পর্যন্ত বিপদমুক্ত নন তিনি। ফের শরীরে নতুন সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। এই খবর শোনা মাত্রই উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে ভক্তদের মধ্যে। গত সোমবারই স্বস্তির খবর শুনিয়েছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন সাড়া দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা। এক্সটার্নাল স্টিমুলির মাধ্যমে অভিনেত্রীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি জ্ঞান না ফিরলেও তার শ্বাসক্রিয়া আগের চেয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক বয়েছে। রক্তচাপও স্বাভাবিক রয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতেই আচমকাই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। তড়িঘড়ি করে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঐন্দ্রিলাকে। ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। ইন্ট্রা সেরিব্রাল হ্যামারেজ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে,এখনও জ্ঞান ফেরেনি ঐন্দ্রিলার। আপাতত চিকিৎসকের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। মঙ্গলবার রাতেই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, আগের তুলনায় তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত শরীরের এক দিকে কোনও সাড় নেই। শুধু চোখ নড়ছে, বাঁ হাত সামান্য নাড়াতে পারছেন। যেহেতু অভিনেত্রীর বয়স অনেকটাই কম, তাই আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকেরা। টলিপাড়ার সকলেরই মন খারাপ ঐন্দ্রিলার জন্য। আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরআই করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। ইন্ট্রা সেরিব্রাল হ্যামারেজ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। তবে এই লড়াইয়ে শুরু থেকেই পাশে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। সব সময়েই তার পাশে রয়েছেন সব্য়সাচী চৌধুরী। অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মাও মেয়ের জন্য প্রার্থনা করতে বলেছেন সকলকে। অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ভক্তরা। সকলেই অভিনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।এই লড়াই কবে শেষ হবে তারই অপেক্ষায় দিন গুনছেন টলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রিয়জন তথা ভক্তরা। এই প্রথমবার নয়, এর আগেও টেন্টস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। যা খুবই বিরল একটি রোগ। দীর্ঘ দেড় বছরের লড়াই করে ২০১৫ সালে ক্যান্সারে জয়ী হয়েছিলেন। ১৬ টি কেমোথেরাপি এবং ৩৩ টি রেডিয়েশেনের পর ক্যান্সার মুক্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। অদম্য জেদ এবং বাঁচার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে ফের মারণ রোগকে হারিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর ঐন্দ্রিলা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ক্যান্সারকে হারিয়ে যুদ্ধে জয়ী হন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন-
‘ভেন্টিলেশন থেকে ঐন্দ্রিলা বেরিয়েছে ঘরে ফিরবে বলেই, তোর যত্ন নে’, অনুরোধে সব্যসাচীর আত্মীয়
তৃতীয় বার মিব়্যাকল! কমছে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট, চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সাড়া দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা
‘তাড়াতাড়ি সুস্থ হও ঐন্দ্রিলা, তোমাকে-সব্যসাচীকে দেখেই ভালবাসায় বিশ্বাস ফিরেছে’, বাংলাদেশ থেকে নূর