সংক্ষিপ্ত
সব্যসাচী চৌধুরীর এক আত্মীয়ের কথায়, ‘‘সে রকম কিছু হলে বাবুর ফোন আসত। এর আগে ফোন করে আমায় জানিয়েছে, ফোন না এলে বুঝে নিতে হবে, ঐন্দ্রিলার অবস্থা একই রকম আছে।’’
যে রকম ছিলেন সে রকমই আছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। নতুন কোনও সংক্রমণের খবর নেই। ফের জ্বর এসেছে, এমনও কোনও খবর আসেনি। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরীর এক আত্মীয়। তাঁর কথায়, ‘‘সে রকম কিছু হলে বাবুর ফোন আসত। এর আগে ফোন করে আমায় জানিয়েছে, ফোন না এলে বুঝে নিতে হবে, ঐন্দ্রিলার অবস্থা একই রকম আছে।’’ দেখতে দেখতে ১২ দিন পার। শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত নন অভিনেত্রী। খবর, ভেন্টিলেশন থেকে সরিয়ে আনা হলেও সি-প্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আচ্ছন্ন ঐন্দ্রিলার সঙ্গে রাত জাগছেন সব্যসাচী চৌধুরী। সঙ্গে থাকছেন অভিনেতা সৌরভ দাস, ‘হোঁদল’ রেস্তরাঁর তিন কর্ণধারের অন্যতম দিব্যপ্রকাশ রায়।
ঠিক তিন দিন আগে এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে সৌরভ জানিয়েছিলেন ভাল আছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দিন তিনেক আগে সংবাদমাধ্যমে ফের খবর ছড়িয়ে পড়ে, নতুন সংক্রমণে আক্রান্ত অভিনেত্রী। জানামাত্র উদ্বিগ্ন নায়িকার অনুরাগীরা। তাঁদের আশ্বাস দেন খোদ ‘মণ্টু পাইলট’। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানান, ‘ভাল আছেন ঐন্দ্রিলা। আর জ্বর আসেনি। অবস্থা স্থিতিশীল।’ তাঁর বার্তাতেও নতুন সংক্রমণের কোনও কথা ছিল না! ১ নভেম্বর মস্তিষ্কে আচমকা রক্তক্ষরণ ঐন্দ্রিলা শর্মার। তড়িঘড়ি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার। খবর ছড়ানোর পর থেকেই ঐন্দ্রিলার পরিবার, সব্যসাচী, সৌরভদের সঙ্গে যেন রাত জাগা শুরু অসংখ্য অনুরাগীদের। তাঁদের সম্মিলিত প্রার্থনা, ‘ফিনিক্স পাখি হয়ে ওড়ো ঐন্দ্রিলা।’ রাজ চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরা, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, অনীক দত্ত সহ বাংলার সমস্ত তারকারা ফেসবুকে একজোট। তাঁদের আশ্বাস, ‘পাশে আছি ঐন্দ্রিলা। তুই শুধু চোখ মেলে উঠে বোস।’ সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার ছবি ভাগ করে নিয়ে তাঁদের লড়াই, ভালবাসাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অগণিত সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহারকারী। সবার একটাই বিশ্বাস, একমাত্র সব্যসাচীই পারবেন তাঁর ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনতে।
হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ঐন্দ্রিলার। দিন ছয়েক আগে হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক চলছে তাঁর। জ্বর নেই, তন্দ্রাচ্ছন্নই রয়েছেন। অবস্থা স্থিতিশীল। রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাস স্যাচুরেশন স্বাভাবিক। এই কথা এর পর ফেসবুক মারফত জানান সব্যসাচীও। তাঁর লেখায়, ‘ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক। রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিন বার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। গলা চিনতে পারে। হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায় তখন। উত্তেজনায় দরদর করে ঘেমে ওঠে। হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম। এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।’
আরও পড়ুন:
জ্বর নেই, অবস্থা স্থিতিশীল, ভাল আছেন ঐন্দ্রিলা, এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানালেন সৌরভ
দিনে তিন বার গল্প করি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে, গলা চিনতে পারে, আমার হাত ধরার চেষ্টা করে, জানালেন সব্যসাচী
‘কাচের দরজার ওপার থেকে দেখছি, ঐন্দ্রিলা যেমন ছিল তেমনই আছে’, জানালেন সৌরভ দাস