সংক্ষিপ্ত
ঐন্দ্রিলা নতুন করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সব্যসাচীর সঙ্গে সারাক্ষণ যারা কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম সৌরভ দাস। এই মুহূর্তে শ্যুটিং-এর জন্য রাজ্যের বাইরে। সেখান থেকেই বললেন তিনিও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
স্থিতিশীল থেকে আচমকাই সঙ্কটজনক ঐন্দ্রিলা শর্মা। সব্যসাচী চৌধুরীর মতোই এবার অলৌকিক শক্তিতেই আস্থা রাখছেন সৌরভ দাসও। শুরুতে তিনিই Asianet News বাংলাকে জানিয়েছিলেন, ভুয়ো খবর রটেছে। ভাল আছেন ঐন্দ্রিলা এবারেও তিনিই ফের ব্যাংকক থেকে জানালেন, অবস্থা আশঙ্কাজনক। একমাত্র সবার শুভেচ্ছা, প্রার্থনা পারে ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনতে। খবর জানাতে জানাতেই আফসোসে ভেঙে পড়েছেন তিনি। দাবি, 'সবাই মিলে অনেক লরলাম! যদি ভাগ্যে থেকে অলৌকিক কিছু ঘটবে।' মনখারাপ নিয়েই 'বিবাহ অভিযান ২'-এর শুটে গিয়েছেন অভিনেতা। মন রেখে গিয়েছেন কলকাতায়। সব্যসাচীর জন্য তাঁর সবচেয়ে খারাপ লাগছে। এ কথা জানিয়েছিলেন আগেই। এ কথায় সিলমোহর দিয়েছেন অলিভিয়া সরকারও।
ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই সব্যসাচীর সঙ্গে হাসপাতালে রাত জেগেছে সৌরভও। তাঁর মতে, সব্যসাচী তাঁর শুধুই বন্ধু নয়, ভাইও। তিনি ওঁর অবস্থা বুঝতে পারছেন। এর মধ্যেই আরেক সঙ্গী দিব্যকে নিয়ে রেস্তরাঁ হোদল সামলেছেন। হাসপাতালে বসে সব্যকে নিয়ে চিত্রনাট্য পড়েছেন। সব্যসাচীর মত তাঁরও আশা ছিল, জিতে ফিরবেন ঐন্দ্রিলা। যেভাবে এর আগে তিনি জিতেছেন দু'বার। মারণ রোগ ক্যান্সার থেকে। বন্ধুর বিশ্বাসে বিশ্বাস ছিল তাঁরও। সেই বিশ্বাসে ভাঙন ধরেছে। সোমবার ফেসবুকে ভেঙে পড়েছিলেন সব্যসাচী। মঙ্গলবার, প্রথম এশিয়ানেট নিউজ বাংলার কাছে প্রকাশ্যে ভেঙে পড়লেন অভিন্ন হৃদয় বন্ধু সৌরভ দাসও।
ঐন্দ্রিলা আবার জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আবারও দাঁতে দাঁতে চেপে লড়ছেন। এ বার আর ক্যান্সার নয়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ তাঁকে শয্যাশায়ী করেছে। তিনি অতল ঘুমে আচ্ছন্ন। সোমবার সব্যসাচী চৌধুরী ফেসবুকে অনুরাগীদের আশ্বস্ত করেছেন, ক্রমশ লড়াইয়ে ফিরছেন তাঁর জীবন নায়িকা! একটু একটু করে যেন ঘোর কাটছে। আগের তুলনায় অনেকটাই সচেতন। জ্বর, ইনফেকশন আপাতত নেই। ভেন্টেলেশন থেকে বেরিয়ে এসেছেন। সেই খবর ছড়াতেই নতুন করে ভাইরাল জি বাংলার এই ভিডিয়ো। যে ভিডিয়োর টুকরো ঝলকে ঐন্দ্রিলা শুধুই জীবনের গান গেয়েছেন। অনেকের অবাক প্রশ্ন, কী করে এত অসুস্থ হয়ে পড়ল ঐন্দ্রিলা? বেশ তো ছিল মেয়েটা? এটা চিকিৎসকদের কাছেও বড় ধোঁয়াশা। ওঁরাও বুঝতে পারছেন না, কোথা থেকে কী হয়ে গেল! আমরা সবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছি ঐন্দ্রিলার চোখ মেলার। জানি, ও চোখ মেলবেই। এত জনের প্রার্থনা বিফলে যাবে না। তখন আমরা ওর থেকে জেনে নেব, কী করে প্রাণবন্ত মেয়েটা এ ভাবে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ল?
আরও পড়ুন-
ভেন্টিলেশনে অতি সঙ্কটে ঐন্দ্রিলা, জীবনযুদ্ধের লড়াই-এ চরম ফাইট দিচ্ছেন অভিনেত্রী
মুম্বই থেকে ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা, সব্যসাচীকে কুর্নিশ পরমব্রতর, ‘আমার সব শক্তি তোমার’, বললেন বিক্রম
সন্তানতূল্য ২ সারমেয়কে সাগর জলে জীবন মন্ত্রের বীজ দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা, আজ তিনি নিজেই লড়াই করছেন