সংক্ষিপ্ত
এবার বাংলা সিনেমার জন্য প্রতিবাদে সরব হল বাংলা পক্ষ। বাংলার সব হলে বাংলা সিনেমা দেখানোর দাবিতে সরব হলেন সংগঠনের কর্তারা। কলকাতার স্টারথিয়েটারের সামনে ছিল প্রতিবাদ কর্মসূচি।
বাংলার হলে হিন্দি সিনেমা চললে সেখানে বাংলা সিনেমা নিষিদ্ধ। এই অসম্ভব জিনিসটা বাংলায় আরেকবার হচ্ছে বলিউডের হিন্দি ছবি "পাঠান" সিনেমাকে কেন্দ্র করে। এই বাংলা ও বাঙালি বিরোধী চক্রান্তে সামিল হয়েছে বাংলার মাটিতে একচেটিয়া ডিস্ট্রিবিউটর ব্যবসা চালানো কিছু বহিরাগত দল। বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বাংলা পক্ষ, ভারতে বাঙালির অধিকার আদায়ের জাতীয় সংগঠন। আশার কথা এবার কৌশিক গাঙ্গুলি, অঞ্জন দত্ত, শৈবাল মিত্র, সাহেব ভট্টাচার্য্য সহ একাধিক চলচ্চিত্র শিল্পী-পরিচালক-সিনেমাকর্মী প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন প্রতিবাদে। বাংলার মাটিতে বাংলা সিনেমা নিষিদ্ধ করে একচেটিয়া ব্যবসার লক্ষ্যে বহিরাগতদের বাংলা ও বাঙালি বিরোধী ফরমানের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ আজ কলকাতা স্টার থিয়েটারের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচী করলো।
বাংলা পক্ষর স্পষ্ট দাবি:
১। বাংলার সব সিনেমা হলের সব পর্দায় প্রাইমটাইম সহ কমপক্ষে ৫০% স্লট বাংলা সিনেমার জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। এটা বাংলার সরকারের দায়িত্ব।
২। বাংলার সিনেমা হলগুলিতে বহিরাগত ডিস্ট্রিবিউটররা বাংলা সিনেমা চালাতে হিন্দি সিনেমার থেকে কয়েক গুণ বেশি চার্জ নেয়। কিউব, ইউএফো প্রযুক্তির লাইসেন্স মালিকদের বাংলা সিনেমা ধ্বংসকারী একচেটিয়া বন্ধ করতে হবে। কিউব, ইউএফো লাইসেন্স অধিগ্রহণ করুক বাংলার সরকার।
প্রতিবাদ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম বিশ্বাস, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, উত্তর চব্বিশ গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার প্রমুখ।
গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাংলার মাটিতে বাংলা সিনেমা হল পাবে না, এটা কেমন কথা? অন্য কোনো রাজ্যে এটা সম্ভব? তামিলনাড়ুতে সম্ভব? মহারাষ্ট্রে সম্ভব? কিন্তু বাংলায় সম্ভব৷ এবার বাংলার মাটি গরম হচ্ছে। বাংলার মাটি দ্রুত গরম হচ্ছে। আগামীতে আশা রাখি বাংলা সিনেমা আগে হল পাবে৷ বলিউডের দাদাগিরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কৌশিক গাঙ্গুলি, অঞ্জন দত্ত, সাহেব ভট্টাচার্য, শৈবাল মিত্র, তাপস ব্যানার্জীকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি এরপর ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ হবে।"
কৌশিক মাইতি বলেন, "সরকার দ্রুত আইন করুক। রাজ্য সরকার কি ঘুমাচ্ছে? বাংলার সমস্ত সিনেমা হলে কমপক্ষে ৫০% স্লটে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করতেই হবে। এখন আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হচ্ছে, যেভাবে বাঙালির ক্ষোভ বাড়ছে, বাংলা সিনেমা বঞ্চিত হলে সমস্যা বাড়বে৷ তাই বাংলা পক্ষ চায় দ্রুত আইন আসুক। এবং বাঙালির ক্ষতি করা শাহরুখ খানকে বাংলার ব্র্যান্ড এম্বাসাডার থেকে সরানো হোক।"
আরও পড়ুনঃ
দাম্পত্য কলহ মেটাতে রকসল্ট অনবদ্য, পরিবারে শান্তি আনতে মেনে চলুন এই বাস্তু নিয়মগুলি
হুগলি শিল্পাঞ্চলে কাজে অগ্রাধিকার দিতে হবে বাঙালিদের, এই দাবিতে বিশাল মিছিল বাংলা পক্ষর