বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত অর্থপাচার মামলায় ইডি বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এই মামলায় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে নয়া মোড়। বলিউডের অভিনতার পাশাপাশি এই মামলায় জড়ালেন টলিতারকা। মিমি চক্রবর্তী এবং অঙ্কুশের লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। বছর শেষে বিরাট সমস্যায় টলিতারকারা।
বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপ ১ এক্সবেট সংক্রান্ত অর্থপাচার মামলায় এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল ইডি। এই মামলায় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির এই পদক্ষেপে শোরগোল সর্বত্র। বিনোদন জগত থেকে রাজনৈতিক মহলের সকলের মনেই উঠেছে।
সূত্রের খবর, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-র অধীনে ইডি এই পদক্ষেপ করেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সম্পত্তিগুলো অপারধলব্ধ আয় বা প্রোসিভস অফ ক্রাইম-র অংশ। তালিকায় আছে একাধিক হেভিওয়েট তারকার নাম। জানা যায়, বেটিং অ্যাপ মামলায় শুক্রবার মোট ৭.৯৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মিমি চক্রবর্তীর ৫৯ লাখ, অভিনেচা অঙ্কুশ হাজরার ৪৭.২০ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে আবার যুবরাজের ২.৫ কোটি, রবিনা উথাপ্পার ৮.২৬ লক্ষ, উর্বশী রাউতেলা ২.০২ কোটি, সোনু সুদের ১ কোটি ও নেহা শর্মার ১.২৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এদিক চলছে মিমি-র নতুন ছবি রক্তবীজ-র প্রমোশন। তার মধ্যেই মিমিও অঙ্কুশ দুজনকে দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়েছে। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে ইডির পক্ষ থেকে বেটিং অ্যাপ মামলা কাণ্ডে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেটিং অ্যাপের সঙ্গে চুক্তিবন্ধ হয়েছিল বলিউডের তারকারাও। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অ্যাকাউন্টে যে টাকা আসত, সেখানে উল্লেখ থাকত না সেই টাকার সঠিক উৎস। বর্তমানে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-র অধীনে প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার জারি করে ইডি পদক্ষেপ নিয়েছে। বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপের অর্থপাচার মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এই তদন্তে টলিউড তারকা মিমি চক্রবর্তীর ৫৯ লাখ ও অঙ্কুশ হাজরার ৪৭.২০ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


