তাঁর ডায়েরিতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ঠিক মতো লেখা ছিল। বাদ দিয়েছিলেন শুধু ২৪ জুলাই। আবার ২৫ জুলাই-র পাতায় ডায়েরিতে লেখাছিল বাঞ্ছারামের বাগান। কিন্তু পরে পেন দিয়ে তা কাটা ছিল।

১৯৮০ সালে ২৪ জুলাই প্রয়াত হন মহানায়ক। হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হয়ে প্রয়াত হন তিনি। জানা গিয়েছিল, মৃত্যুর আগে কয়েক বছর শ্বাসের সমস্যাজনিত কারণে ভুগছিলেন। হাসপাতালে প্রায়ই চিকিৎসার জন্য যেতেন। তিনি নিয়মিত ওষুধও খেলেন। তা সত্ত্বেও অসময় চলে যেতে হয় তাঁকে। এটাই ছিল বিধির বিধান। দেখতে দেখতে কেটে গেল ৪৫টি বছর। তা সত্ত্বেও আজও তিনি রয়ে গিয়েছেন মানুষের মনে। বাঙালির কাছে আজও তিনি মহানায়ক। আজও তাঁর জনপ্রিয়তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেি কেউ। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। এই বিশেষ দিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন সকলে।

তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি ডায়েরি লিখতেন। জানা যায়, তাঁর ডায়েরিতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ঠিক মতো লেখা ছিল। বাদ দিয়েছিলেন শুধু ২৪ জুলাই। আবার ২৫ জুলাই-র পাতায় ডায়েরিতে লেখাছিল বাঞ্ছারামের বাগান। কিন্তু পরে পেন দিয়ে তা কাটা ছিল। অদ্ভূত ভাবে ২৬ জুলায়ের পর থেকেই ডায়েরির বেশ কটা পাতায় লেখা ছিল বিশ্রাম এবং চিরবিশ্রাম শব্দ দুটো।

তবে কি আগেই কিছু আঁচ করতে পেয়েছিলেন মহানায়ক? নাকি অবসর নেওয়ার কথা ভাবছিলেন তিনি?

এদিকে আজ এই বিশেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন,

'মহানায়ক উত্তমকুমার-র মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে জানাই আমার অন্তরের শ্রদ্ধা।

আমাদের সবার মনের মণিকোঠায় আজও উত্তমকুমার বাঙালির চিরন্তন ম্যাটিনি আইডল। তাই তাঁর মৃত্যুর পর ৪৫ বছর কেটে গেলেও, তাঁর প্রতি অনুরাগ আমাদের কিন্তু এতটুকুও কমেনি।

আমি গর্বিত, সিনেমায় ও বাঙালি মননে উত্তমকুমারের অনন্য অবদানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের সরকারই ২০১২ সাল থেকে বিশিষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্বীকৃতি জানানোর জন্য মহানায়ক সম্মান পুরস্কার চালু করেছে। আমি রেলমন্ত্রী থাকাক সময়ই টালিগঞ্জ মেট্রো রেলস্টেশনের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘মহানায়ক উত্তমকুমার’। তাঁর নামাঙ্কিত উত্তম মঞ্চ-কেও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

উত্তমকুমার বাঙালির স্বপ্নের মহানায়ক- চিরকালীন ভালোবাসা। তাঁর মৃত্যুদিন আমি আর একবার তাঁকে আমার প্রণাম জানাই।'