সংক্ষিপ্ত

প্রমোদ ফিল্মস থেকে প্রতীক চক্রবর্তী এবং অ্যাসোর্টেড মোশন পিকচার্সের সহযোগিতায়, দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারস থেকে দেব অধিকারী প্রযোজিত এই ছবিতে থাকছে প্রচুর নবীন এবং প্রবীণ অভিনেতার সমাহার। 

১৯ শতকের বাংলার কিংবদন্তি থিয়েটার শিল্পী বিনোদিনী দাসীকে নিয়ে প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মাতা রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের নতুন সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন টলি-সুন্দরী রুক্মিণী মৈত্র। ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’ ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই টলিউডে বেড়েছে জল্পনা-কল্পনা।

চলতি বছর ভ্যালেন্টাইন ডে-তে ফ্লোর হিট করার আগে নির্মাতারা এই ছবির চূড়ান্ত কাস্ট ঘোষণা করেছেন। প্রমোদ ফিল্মস থেকে প্রতীক চক্রবর্তী এবং অ্যাসোর্টেড মোশন পিকচার্সের সহযোগিতায়, দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারস থেকে দেব অধিকারী প্রযোজিত এই ছবিটি বাংলা এবং মুম্বইয়ের প্রতিভাবান অভিনেতাদের একটা সম্পূর্ণ দল নিয়ে কাজ করছে। “এটা বাংলা থিয়েটার এবং বিনোদিনী দাসীর দেড়’শ বছর পূর্তির প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা”, বলেছেন প্রযোজক দেব অধিকারী। তিনি আরও বলেন, “রাম কমল যখন এই প্রজেক্টটার কথা বলেছিলেন, তখন আমার মনে হয়েছিল যে, আমাদের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে থেকে এই গল্পটা বলা দরকার। তিনি এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং তাঁর উৎসর্গ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না।”

এই দুর্দান্ত রচনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অপর এক প্রযোজক প্রতীক চক্রবর্তী বলেছেন, "রাম কমলের দৃষ্টিতে আমার বিশ্বাস আছে এবং তিনি গত কয়েক বছর ধরে এই বিষয়ে কাজ করছেন। রুক্মিণী বাংলার একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান অভিনেত্রী এবং তাঁরা দুজনেই পর্দায় একটা ম্যাজিক তৈরি করবেন!” দেবের সাথে সহযোগিতার কথা বলতে গিয়ে তিনি যোগ করেছেন, “দেব একজন সুপারস্টার এবং একজন সফল প্রযোজকও। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণের সৃজনশীল এবং বাণিজ্যিক দিকটি বোঝেন। আমি আনন্দিত যে, আমরা বিনোদিনীর মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্রের সাথে হাত মিলিয়েছি।”


 

বিনোদিনী দাসীর চরিত্রে অভিনয় করা রুক্মিণী মৈত্র বলেন, “আমি এই চরিত্রটির জন্য গত এক বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি শুধু বাংলায় নয়, বলিউডের ছবিও প্রত্যাখ্যান করেছি, কারণ এই চরিত্রটি করার সময় আমি আমার শতভাগ দিতে চেয়েছিলাম। সুদীপ্তা চক্রবর্তীর সাথে কর্মশালা করা এবং পন্ডিত বিরজু মহারাজজির শিষ্য শৌভিকের কাছ থেকে কত্থকের প্রশিক্ষণ নেওয়া। রাম কমল চিত্রনাট্যটি এত আবেগপূর্ণভাবে বুনেছেন যে, এটি অবিলম্বে দর্শকদের সাথে সংযুক্ত হবে।"


 

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ, যিনি বিনোদিনীর সুপরামর্শদাতা ছিলেন এবং তাঁর জীবনে এক অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁর চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলী। “যখন রাম কমল আমাকে গল্পটি বর্ণনা করেছিলেন, আমি অবাক হয়েছিলাম। তার সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং তিনি এমন একটি চলচ্চিত্র তৈরি করার চেষ্টা করছেন, যা ভিজ্যুয়ালি আনন্দদায়কও হবে। আমরা গিরিশকে বিনোদিনীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি, যেটি আবারও অন্য কোনও অদেখা দিক। এখনও পর্যন্ত একটি ভিজ্যুয়াল আখ্যান,” বলেছেন কৌশিক গাঙ্গুলি।


 

রাঙা বাবুর চরিত্রে অভিনয় করা বলিউড অভিনেতা রাহুল বোস মনে করেন যে, এই ভূমিকাটি একজন দুর্দান্ত নায়কের, যে কোনও মহিলাই এই ব্যক্তির প্রেমে পড়বেন। “যখন গোটা পৃথিবী কেবলই হিংসার কথা বলছে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা খুব কমই নীরব প্রেমিকদের দেখতে পাই। রাঙা বাবু সেই বিরল পুরুষদের মধ্যে একজন, যারা বহু সমস্যার মধ্যে দিয়ে বিনোদিনীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এমন একজন, যিনি আসলে তাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। দেব একজন ভালো মানুষ, উষ্ণ এবং উদার, এবং আমি তার সাথে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত এবং রাম কমল একজন সংবেদনশীল নির্মাতা, আমি নিশ্চিত যে, দর্শকরা তাঁর সংস্করণ দেখতে পছন্দ করবেন," বলেছেন রাহুল বোস।


 

বহুমুখী অভিনেতা তথা বিখ্যাত রেডিও জকি মীর, ব্যবসায়ী গুরমুখ রাইয়ের আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি বিনোদিনীর নিজের নামে একটি থিয়েটার করার স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন। “রাম কমল আমাকে গল্প শোনানোর পর একজন মানুষ হিসেবে আমি লজ্জিত বোধ করেছি। অবশ্যই আমি বিনোদিনী সম্পর্কে জানতাম, কিন্তু তার দুঃখ-দুর্দশা জানার মতো নয়। তিনি বাংলা থিয়েটারকে অনেক কিছু দিয়েছেন এবং এখনই সময় এসেছে যে আমরা তাঁর গল্পটা মানুষকে সিনেমার পর্দায় জানাবো”, বলেছেন মীর।


 

তরুণ সুদর্শন পুরুষ ওম সাহানি বিনোদিনীর প্রেমিক-পুরুষ কুমার বাহাদুরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। “আমি একটি নাটক দেখছিলাম যখন দেবদা আমাকে এই ভূমিকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমার আইডল দেবদার কাছ থেকে ফোন কল পেয়ে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি বাংলা সিনেমার সুপারস্টারদের মধ্যে একজন। এটি আমার জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা এবং আমি নিশ্চিত যে, মানুষ একটি মনোরম সারপ্রাইজ পাবে", বলেছেন ওম সাহানি৷


 

সিনেমার গল্প এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার। সিনেমাটোগ্রাফির নেতৃত্ব দেবেন সৌমিক হালদার। তন্ময় চক্রবর্তী শিল্প পরিচালক হিসাবে বিনোদিনীর সময়কালকে পুনঃনির্মাণ করছেন এবং সুচিস্মিতা দাশগুপ্ত কস্টিউম ডিজাইনার হিসাবে ছবির সঠিক ফ্যাব্রিক সেট করছেন। সঙ্গীত রচনা করেছেন প্রখ্যাত সঙ্গীত-যুগল সৌরেন্দ্র এবং সৌম্যজিৎ, আর গানের কথা লিখেছেন রাম কমল।

আরও পড়ুন-

আবার ১৫ ডিগ্রিতে নেমে গেল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, অধিকাংশ জেলাতেই পারদ স্বাভাবিকের নীচে 
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলেই যোগ দেবেন একাধিক বিধায়ক? আনন্দপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে বাড়ছে কৌতূহল

ভারতে কোনও হাইকোর্টেই মহিলা প্রধান-বিচারপতি নেই, সংসদে জানাল কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক