সংক্ষিপ্ত
ঋত্বিক চক্রবর্তী ফেসবুকে প্রার্থনা করা নিয়ে কটাক্ষ করছেন। ঠিক তখনই আরও এক জনপ্রিয় অভিনেতা অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ঐন্দ্রিলার পরিবারের প্রতি আর্থিক সহযোগিতার কথা তোলেন।
এক দিকে, মানুষ-রূপী শকুনের দেখা পেয়েছেন। অন্য দিকে, তারই মধ্যে ঈশ্বরের পাঠানো দেবদূতের মতোই অরিজিৎ সিংয়ের উপস্থিতি। ঐন্দ্রিলা শর্মার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাঁর পাঠানো তথ্য সমৃদ্ধ করেছে সব্যসাচী চৌধুরীকে। সে কথা জানিয়ে অভিনেতা শুক্রবার রাতে ফেসবুকে গায়ককে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানালেন। ফেসবুকে তিনি অকপটে স্বীকার করেন, ‘তবে গত দু’দিনের এত নেগেটিভিটির মাঝে একটামাত্র মানুষ আমায় কিছু তথ্য দিয়ে প্রথম আলোর দিশা দেখায়, যার সাথে সারাদিন নির্দ্বিধায় চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি, তিনি অরিজিৎ সিং।’
এ দিকে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, অরিজিৎ সিং ঐন্দ্রিলা শর্মার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে চলেছে। সংবাদমাধ্যম এও জানিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যের বাইরে অভিনেত্রীর চিকিৎসা করানো হতে পারে। সেই বিপুল খরচের দায়িত্ব নাকি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী। সৌরভ এই বক্তব্য নস্যাৎ করেছেন। তাঁর কথায়, আপাতত ঐন্দ্রিলাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। নিজের শহরে, আন্দুলের যে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওঁর সেখানেই যাবতীয় সব কিছু হবে। ঐন্দ্রিলার খবর জেনে অরিজিৎ নিজে থেকেই রাজ্যের এবং রাজ্যের বাইরের প্রথম সারির অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কথা বলছেন। এতে ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার বিষয়টি আরও সহজ হয়েছে। সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার পরিবার সহজেই অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারছেন।
দিন দুই আগের কথা। এক দিকে, ঋত্বিক চক্রবর্তী ফেসবুকে প্রার্থনা করা নিয়ে কটাক্ষ করছেন। ঠিক তখনই আরও এক জনপ্রিয় অভিনেতা অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ঐন্দ্রিলার পরিবারের প্রতি আর্থিক সহযোগিতার কথা তোলেন। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমাদের এক জন অভিনেত্রীকে সুস্থ করে ফেরৎ আনার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনার থেকে অর্থের সাহায্য জরুরি কি না, সেটা ভেবে দেখা দরকার।’ সঙ্গে সঙ্গে সাধুবাদে উপচে পড়ে মন্তব্য বিভাগ। শঙ্কর দেবনাথ-সহ বহু বিশিষ্ট জন এবং সাধারণ মানুষ পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। পরে এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে তিনি জানান, অর্থ সাহায্যের কথা জানিয়েছিলেন। সব্যসাচীর বক্তব্য, এক্ষুণি এর প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন।
শুক্রবার রাতে এ বিষয়েও মুখ খোলেন সব্যসাচী। তাঁর বক্তব্য, ‘চিকিৎসার খরচ নিয়ে লেখালিখি বন্ধ করা উচিৎ। পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ীই চিকিৎসা হবে। এখনও অবধি কারও কাছে এক পয়সাও অর্থসাহায্য চাওয়া হয়নি। অথবা কারও থেকে এক পয়সাও গ্রহণ করা হয়নি। তাই এটা নিয়ে লেখা মানে ঐন্দ্রিলাকে অপমান করা। এবং তার পরিবারকে ছোট করা। নিজের অপমান গায়ে মাখি না ঠিকই। কিন্তু ওর অপমানে আমার গায়ে ফোস্কা পড়ে।’
আরও পড়ুন
ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের আর্জি অনিন্দ্যর, ‘এক্ষুণি প্রয়োজন নেই’, মত সব্যসাচীর
ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছেন না অরিজিৎ সিং, মিথ্যা খবরে তোলপাড় নেট দুনিয়া
‘যাদের পথ চলা বাকি তাদের রেখো, আমি প্রস্তুত’, নিজের জীবনের বিনিময়ে ঐন্দ্রিলার প্রাণভিক্ষায় শ্রীলেখা