সংক্ষিপ্ত
সব্যসাচীর ব্যঙ্গ, ‘অনেকে অবশ্য হেসেছে বা অপমান করেছে। তাতেও বিন্দুমাত্র কিছু মনে করিনি। এই ক্ষুদ্র জীবনে বহু বার কাদায় পড়েছি তো। তাই গায়ের চামড়া বেশ মোটা হয়ে গিয়েছে’...
ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং তাঁর সমর্থকদের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাত থেকে একটু স্থিতিশীল ঐন্দ্রিলা শর্মা। সে কথা সবিস্তারে জানিয়েছেন ফেসবুকে। সেখানেই কারওর নাম না করে তাঁর দাবি, ‘ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি। তাই লিখেছিলাম, মন থেকে প্রার্থনা করুন। ‘ফোন’ থেকে করুন লিখিনি।’ সব্যসাচীর এই মন্তব্যেই পরিষ্কার, ঋত্বিকের পোস্ট সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন।
ফেসবুকে কী লিখেছিলেন ঋত্বিক? তাঁর বক্তব্য, ‘অনেককেই দেখি নানা কারণে ফেসবুকে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয় তিনি ফেসবুক করেন তো?’ বুধবার সকালের খবর, ভাল নেই ঐন্দ্রিলা শর্মা। তার পরেই অভিনেতার এই পোস্ট বিতর্কের ঝড় তুলে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যথারীতি দ্বিধাবিভক্ত নেট ব্যবহারকারীরা। বিদীপ্তা চক্রবর্তী, ঊষসী চক্রবর্তী, পৌলমী দাস-সহ বহু জনের দাবি, সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন ঋত্বিক। বাকিরা অভিনেতাকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন ঋত্বিক। লেখেন, ‘কাল একটা পোস্ট করেছিলাম। পরে কমেন্ট দেখে বুঝলাম, অনেকেই লেখাটাকে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করেছেন। আমার বিপদের দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন বলেও বলেছেন। পোস্টটা করার সময় ঐন্দ্রিলার কথা মাথায় ছিল না। পরে বুঝলাম থাকলে ভাল হত৷ যাদের দুঃখ দিলাম, দুঃখিত। মার্জনা করবেন।’ অভিনেত্রী সুস্থ হয়ে ফিরুন, এই শুভ কামনাও করেন তিনি। লেখেন, 'ঐন্দ্রিলার জন্য সবাই মন থেকে প্রার্থনা করছেন,করবেনও। চাইলে ফেসবুকেও করুন। আমাদের সবার চাওয়াতেই তার জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসুক।' নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, ‘আসলে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার মাধ্যম হিসাবে ফেসবুকের পাবলিক পোস্ট কেমন? বা, প্রার্থনার ডকুমেন্টেশান রেখে দেওয়ার তাগিদ অনেকের মধ্যে অনেক দিন ধরেই দেখছি বলে কথা গুলো মাথায় এসেছে।’
নীরবে সব দেখেছেন সব্যসাচী। শুক্রবার রাতে ফেসবুকে তাঁর পাল্টা শ্লেষ, ‘চিকিৎসাশাস্ত্রে যে বিজ্ঞানই শেষ কথা, আমি সে কথাও জানি। তবে পরপর তিনজন নিউরো সার্জন যদি বলেন ‘ঈশ্বরকে ডাকুন’, তা হলে আর না ডেকে উপায় কি? ওঁদের তুলনায় আমি নিতান্তই অশিক্ষিত। তবে কেবল আমি একা নই, মুর্শিদাবাদের প্রতিটা মন্দির, প্রতিটা মসজিদে মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করছেন। বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন প্রসাদ এবং অজস্র আশীর্বাদী হাসপাতালে এসেছে নিয়মিত। তোমাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি ছোট করতে পারব না। অনেকে অবশ্য হেসেছে বা অপমান করেছে। তাতেও আমি বিন্দুমাত্র কিছু মনে করিনি। এই ক্ষুদ্র জীবনে বহু বার কাদায় পড়েছি তো। তাই গায়ের চামড়া বেশ মোটা হয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন
‘যার কাছে প্রার্থনা তিনি ফেসবুক করেন?’ সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলাকে বিঁধলেন ঋত্বিক!
‘যাদের পথ চলা বাকি তাদের রেখো, আমি প্রস্তুত’, নিজের জীবনের বিনিময়ে ঐন্দ্রিলার প্রাণভিক্ষায় শ্রীলেখা