সংক্ষিপ্ত
আজ ১২.৫৯ মিনিটে প্রয়াত হন অভিনেত্রী। এই লড়াকু মেয়েটির ছোটবেলা কেমন ছিল তা জানতে চান সকলেই। কিছুদিন আগে এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঐন্দ্রিলা শর্মার মা জানিয়েছিলেন তার ছোটবেলা প্রসঙ্গে।
জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে ইতি টানলেন নায়িকা। আজ বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। কারও ডাকে সাড়া না দিয়ে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। আজ তাঁর প্রয়াণে স্তব্ধ টলিপাড়া। শোকের ছায়া সর্বত্র। দীর্ঘদিন ধরে হাওড়ার এক হাসপাতালে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন নায়িকা। গত ১ নভেম্বর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। আর ফিরল না জ্ঞান। আজ হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন তিনি।
দু বার ক্যান্সার জয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দেখিয়েছিলেম অদম্য মনে জোড়। ২০১৫ সালে প্রথম বোনম্যারো ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় কেমোথেরাপি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সুস্থ হয়ে ওঠেন ঐন্দ্রিলা। ফের ২০২১ সালে ধরা পড়ে ফুসফুসে ক্যান্সার। আবারও শুরু হয় লড়াই। কিন্তু, শেষ জয় হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ১ নভেম্বর আচমকাই ব্রে স্টোক। কোমায় চলে যান অভিনেত্রী। রাখ হয় ভেন্টিলেশনে। এরপর পর পর কয়েকবার হার্ট অ্যাটাক। আর জয় হল না। আজ ১২.৫৯ মিনিটে প্রয়াত হন অভিনেত্রী। এই লড়াকু মেয়েটির ছোটবেলা কেমন ছিল তা জানতে চান সকলেই। কিছুদিন আগে এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঐন্দ্রিলা শর্মার মা জানিয়েছিলেন তার ছোটবেলা প্রসঙ্গে।
ঐন্দ্রিলা শর্মার মার থেকে জানিয়েছিলেন, ছোট বেলায় খুবই দুষ্টু ছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ছোটবেলায় কোঁকড়ানো চুল ছিল নায়িকার। কোঁকড়ানো চুলে সিঁথি করতে বেশ সমস্যা হত তাঁর মায়ের। এমনই মজার ছলে মেয়েকে বলতেন, তার সিঁথি করা বেশ কঠিন। এই শুনে একদিন হঠাৎ এক কান্ড ঘটায় নায়িকা। ঐন্দ্রিলার মা দেখেন মেয়ে কাঁচি দিয়ে চুলের ঠিক মাঝখানের অংশ কেটে সিঁথি বানিয়ে নিয়েছেন। এমনই নানান দুষ্টুমি করতে ঐন্দ্রিলা। স্কুলে নাকি খুব মারপিট করতেন। তিনি স্কুলে লিডার ছিলেন। মারপিটের কারণে গার্জিয়ান কল হত। আর তাই স্কুলে গার্জেন কলের ভয় টতস্থ থাকতেন ঐন্দ্রিলার মা-বাবা।
তবে ঐন্দ্রিলার মা বলেছিলেন, রান্না করত খুব ভালো বাসত সে। নানা রকম পদ রাঁধত। জানা গিয়েছে, ঐন্দ্রিলার হাতের মটন কষা ছিল সকলের প্রিয়। আজ সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন নায়িকা। মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। শেষ হল তাঁর লড়াই। আজ শেষ হয়ে গেল ১৯ দিনের কঠিন লড়াই। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন টলিউডের সমস্ত কলা কুশলীরা।
আরও পড়ুন-
‘মিষ্টির তাগিদেই লেখা, ও নেই! কী লিখব?’ পোস্ট, ফেসবুক পেজ সব মুছলেন সব্যসাচী, সাক্ষী সৌরভ
‘ও আর নেই’! ব্যাংকক থেকে বার্তা সৌরভের, ভাষা হারিয়েছেন রাহুল, গৌরব, মিশমি, রাইকিশোরী