সংক্ষিপ্ত
১৯৯৯ সালে প্রথম মুক্তি পায় ম্যাট্রিক্স । এরপর ম্যাট্রিক্স ফ্রাঞ্চাইজি থেকে আরও দুটি ছবি মুক্তি পায়। এদের একটির নাম দ্য় ম্যাট্রিক্স রিলোডেড এবং দ্য ম্যাট্রিক্স রেভলিউশনস । এই দুটি ছবিই ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল।
ফিরছে ম্যাট্রিক্স (Matrix Franchise) এবং অবশ্যই তার সঙ্গে ফিরছেন মূল নায়ক নিও (Neo- Keanu Reevs)। বৃহস্পতিবারই মুক্তি পাচ্ছে ম্যাট্রিক্স ৪ রিসারেকশনস-এর ট্রেলার (Release of Matrix 4 Resurrections)। আর এই ট্রেলার দেখার জন্য এক অভিনব আয়োজন করেছে মূল প্রোডাকশন সংস্থা ওয়ার্নার ব্রাদার্স (Warner Brothers)। WhatIsTheMatrix.com-এই ট্রেলার দেখার লিংক পাওয়া যাচ্ছে। তবে, এই ট্রেলার মুক্তির আগে এক অভিনব উপায়ে ম্যাট্রিক্সপ্রেমিদের নজর টানার চেষ্টা করছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স। এই লিঙ্কে রাখা হয়েছে দুটি পিল (Two Pills for seeing of Releasing the Trailer of Matrix 4 Resurrections) অথবা ক্যাপসুলের আকারের ক্লিকেবল অপশন। এই ক্যাপসুল বা পিল-এর একটির রঙ লাল এবং অন্যটি নীল রঙের (Blue Pill and Red Pill)। পিল-এর যে কোনও একটি-তে ক্লিক করলে মিলছে দুই ধরনের দৃশ্য। এটা ম্যাট্রিক্সপ্রেমিদের মন কাড়বে বলেই মনে করছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স।
নীল রঙের পিল-এ ক্লিক করা মানে ম্যাট্রিক্স এমন এক অভিজ্ঞতার কথা বলছে যে বাস্তবটাকে আমরা সারাজীবন চোখের সামনে দেখি। আর লাল রঙের পিল-এ ক্লিক করা মানে এমন এক দুনিয়ার বাস্তবতা ম্যাট্রিক্সপ্রেমিদের সামনে হাজির হবে যা তারা কল্পনাই করতে পারেন না। আরও রয়েছে এই দুই রঙের পিল-এর রহস্যের পিছনের পর্দায়। এই দুই রঙের পিল-এ ক্লিক করার অর্থ সিনেপ্রেমিরা ম্যাট্রিক্স ৪- রিসারকেশনস-এর মূবল কাহিনি সম্পর্কে খানিকটা অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাবেন। যেমন এখন পর্যন্ত ম্যাট্রিক্স ৪-এর যে টিজার মুক্তি পেয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে নিও-র চরিত্রে অভিনয় করা কিয়ানু রিভস ম্যাট্রিক্স ওয়ার্ল্ডে ফিরে এসেছেন। তিনি নীল রঙের পিল খাচ্ছেন, আর এই সময়ই সেখানে আবির্ভাব ঘটছে থেরাপিস্টের। এই ভূমিকায় অভিনয় করছেন নিল প্য়াট্রিক হ্যারিস (Neil Patric Harris)। যারা নিল রঙের পিল-এ ক্লিক করবেন তারা হ্যারিস-এর একটি ভয়েস ওভার শুনতে পাচ্ছেন। যেখানে হ্যারিস বলছেন- 'কাল্পনিক জগত থেকে বাস্তবের দুনিয়াতে আসার ক্ষমতাটাই তুমি হারিয়ে ফেলেছ। যা কিছু ঘটছে তা আসলে তোমার মস্তিস্ক তোমার সঙ্গে কৌশলে খেলা করে চলেছে।'
আবার যারা লাল রঙের পিল-এ ক্লিক করবেন, তারা দেখতে পাবেন এবং শুনতে পাবেন ছবির আর এক চরিত্র আব্দুল-মাটিন-এর ভয়েস ওভার। যিনি বলছেন বর্তমান সময়েই তাদের বেশি ভরসা। এর বাইরে কিছু নেই। যাকে তারা সত্যি বলে মনে করেন এবং সত্যকে ছাড়িয়ে অন্যকিছুর অস্তিত্ব থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন- আসুক পরিবর্তন, বলিউডকে জ্ঞান দিতেই বিপাকে প্রিয়ঙ্কা, সেই কারণেই কি কমছে ছবির সংখ্যা
আরও একটি বিষয় রয়েছে এই দুই পিল-কে নিয়ে। দুই রঙের এই পিল-এ যতবার ক্লিক করা যাবে ততবারই ভিডিও-তে কিছু অদল-বদল আসবে। ১৯৯৯ সালে প্রথম মুক্তি পায় ম্যাট্রিক্স। এরপর ম্যাট্রিক্স ফ্রাঞ্চাইজি থেকে আরও দুটি ছবি মুক্তি পায়। এদের একটির নাম দ্য় ম্যাট্রিক্স রিলোডেড এবং দ্য ম্যাট্রিক্স রেভলিউশনস। এই দুটি ছবিই ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এখন আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই (Artificial Intelligence Or AI Technology) নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রবল উন্মাদনা চলছে। কিন্তু, ম্যাট্রিক্স সিনেমার পর্দায় প্রথম তুলে ধরেছিল এআই-এর সুদূর ভবিষ্যতের কথা। কীভাবে এআই-এর মাধ্যমে আমাদের চারপাশটা বদলে যাচ্ছে এবং যেখানে সবসময়ে অশুভ শক্তি আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। আর তাকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসছে নিও-র মতো মানুষরা, যারা শুভ শক্তির প্রতিনিধি। ম্যাট্রিক্স ফ্র্যাঞ্চাইজির পত্তনের সময় থেকেই এখানে নায়ক নিও-র ভূমিকায়ি কিয়ানু রিভস। ম্যাট্রিক্স অত্যন্ত সফলভাবে কিয়ানু রিভস-এর ফিল্মি কেরিয়ারকে এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল। এখন দেখার ১৮ বছর পর ম্যাট্রিক্স ফ্র্য়াঞ্চাইজির প্রর্ত্যাবর্তন কতটা সিনেপ্রেমিদের মনে দাগ কাটতে পারে। চলতি বছরেই ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ম্যাট্রিক্স ৪ রিসারেকশনস-এর। প্রিয়ঙ্কা চোপরাও (Priyanka Chopra) এই ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন। যা নিয়ে রীতিমতো এখন উচ্ছ্বসিত পিগি-চপস।