সংক্ষিপ্ত

১ কোটি টাকা জেতার পরও গীতার কাছে আরও দুটি লাইফ লাইন বেঁচে ছিল। আসলে গোটা খেলায় নিজের দমেই বেশিরভাগ উত্তর দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে দুটি লাইফ লাইনের সাহায্য নিয়েছিলেন। তাঁর জ্ঞান দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন খোদ বিগ বি। 

জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো (Reality Show) ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’। এই শো-এর ১৩ নম্বর (Kaun Banega Crorepati 13) সিজনের তৃতীয় কোটিপতি হলেন মধ্যপ্রদেশের গীতা সিং গৌর (Geeta Singh Gaur)। টেলিভিশনে এই এপিসোড সম্প্রচারিত হয়েছে মঙ্গলবার। আর এই এপিসোড সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন মধ্যপ্রদেশের এই গৃহবধূ (homemaker)। ১ কোটি টাকা জিতেছেন তিনি। তবে ৭ কোটির জ্যাকপট প্রশ্ন তিনি আর খেলেননি। শেষ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত ছিলেন না তিনি। সেই কারণে খেলা ছেড়ে দেন। তবে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন ১ কোটি টাকা (Rs 1 crore)।   

তবে গীতার কাহিনি অনুপ্রেরণা দেবে সব মহিলাকেই। ইচ্ছে থাকলে যে সব কিছুই সম্ভব তাই প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। খুব অল্প বয়সে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেছিলেন তিনি। বিয়ের পর আর পড়াশোনা হয়নি। ছেলেমেয়ে ও পরিবারকে দেখতে গিয়েই জীবনের বেশিরভাগ সময়টা বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ৫৩ বছর বয়সে এসে এখন জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চান তিনি। নিজের মতো করে বাকি জীবনটা কাটানোর স্বপ্ন দেখছেন। তাই জীবনের যা যা কিছু স্বপ্ন ছিল তা এই বয়সে পূরণ করবেন বলে ঠিক করেছেন। 

আরও পড়ুন- সত্যজিৎ রায়-এর চরিত্রে জিতুর লুক, কী বলছেন পরিচালক অনিক দত্ত

অনুষ্ঠান চলাকালীন অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) সঙ্গে গল্প করছিলেন গীতা। সেখানেই নিজের জীবনের, নিজের ইচ্ছের বিভিন্ন কথা তুলে ধরেছিলেন। বলেন, "যখন কেবিসি শুরু হয়েছিল, আমি ভেবেছিলাম একদিন এই প্ল্যাটফর্মে যাব। আমি নিজেকে বলেছিলাম যে আমি যদি সেখানে পৌঁছাই তবে আমি সারা বিশ্বের কাছে নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে পারব। ১৬-১৭ বছর ধরে এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। শো-র জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি, এমনকি কয়েকবার অডিশনও দিয়েছি। অবশেষে আমি সুযোগ পেলাম।"

আরও পড়ুন- 'তোমার মতো কেউ নেই আর', নাম না নিয়ে কার কথা বললেন শুভশ্রী

১ কোটি টাকা জেতার পরও গীতার কাছে আরও দুটি লাইফ লাইন বেঁচে ছিল। আসলে গোটা খেলায় নিজের দমেই বেশিরভাগ উত্তর দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে দুটি লাইফ লাইনের সাহায্য নিয়েছিলেন। তাঁর জ্ঞান দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন খোদ বিগ বি। তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, কীভাবে কখন এত পড়াশোনা তিনি করলেন? এর উত্তরে গীতা জানান, পরিবারকে সারাদিন সময় দিতে হত। ফলে এক মুহূর্তও তিনি সময় পেতেন না। রাতের কিছুটা সময় নিজের জন্য বের করে নিতেন। ওই সময় তিনি পড়াশোনা করতেন। বিভিন্ন ধরনের বই পড়তেন। যার মাধ্যমে একটু একটু করে তাঁর জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়েছে।  

আরও পড়ুুন-Katrina-Vicky Wedding : মাসিক ৮ লক্ষ টাকা, বিয়ের পরও ভাড়া বাড়িতেই থাকবেন ভিকি-ক্যাট

এমনকী, অমিতাভ প্রশ্ন করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তার উত্তর দিচ্ছিলেন গীতা। আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ছিল তাঁর কথায়। প্রশ্ন বলার সঙ্গে সঙ্গেই মাথা নাড়তে শুরু করে দিচ্ছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই দুটো লাইফ লাইন বাঁচিয়ে রেখেই ১ কোটি টাকা নিয়ে ঘরে ফেরেন গীতা। এদিকে মায়ের এই সাফল্যে আনন্দে বাঁধ মানছিল না তাঁর মেয়ের চোখের জল। অডিয়েন্সের সিটে বসেই মায়ের জন্য গর্বে তাঁর বুক ভরে উঠছিল। 

পাশাপাশি এই এপিসোড সম্প্রচারিত হওয়ার পরই গীতাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন নেটিজেনরা। এখন রীতিমতো চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন মধ্যুপ্রদেশের মাঝবয়সী এই গৃহবধূ।   

YouTube video player