সংক্ষিপ্ত
অনেকে ‘কুলি নম্বর ১’-কে এও নাকি জানিয়েছেন, এই পরিমাণ মাংস খেলে অরুণাচলের সমস্ত মুরগি ফুরিয়ে যাবে!
বরুণ ধবন মানেই কৌতুক। বরুণ ধবন মানেই নাচা-গানা আর ঢালাও প্রেম! বরুণ সিরিয়াস অভিনয় করতে পারেন? পরিচালক অরুণ কৌশিক ২৫ নভেম্বর সেই উত্তর দিতে চলেছেন তাঁর ‘ভেড়িয়া’ ছবিতে। ১৯৯২-এ মহেশ ভাটের ‘জুনুন’ যাঁরা দেখেছেন তাঁরা অল্প মিল পেলেও পেতে পারেন। মহেশের ছবিতে ‘নেকড়ে মানুষ’-হয়ে উঠেছিলেন রাহুল রায়। অরুণের ছবিতে সেই একই ভূমিকায় বরুণ। এবং অভিনেতার মতে, এখনও পর্যন্ত তিনি যত চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন, ‘ভেড়িয়া’ তার মধ্যে অন্যতম। এখানে সত্যিই সে ভাবে প্রেম, বা নাচাগানা নেই। এক স্বাভাবিক মানুষকে নেকড়ে কামড়ানোর পরে কী ভাবে সে নেকড়ে মানুষে রূপান্তরিত হয়ে যায় সেই গল্পই বলবে এই ছবি। বরুণের স্বীকারোক্তি, ‘দিব্যি হাসিঠাট্টায় মেতে যে মানুষ তার উপরে পূর্ণিমার চাঁদের আলো পড়লেই বদলে যায়! তাঁর ড্র্যাকুলার মতো দাঁত বেরোয়। লম্বা লম্বা, ধারালো নখ গজায়। প্যান্টের পিছন দিয়ে লেজ উঁকি মারে! ভীষণ শক্ত চরিত্র। আমার ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে।’
শ্যুটিংয়ের নেপথ্য কাহিনি এর পরেই ফাঁস। বরুণের দাবি, সবচেয়ে শক্ত ছিল মানুষ থেকে নেকড়েতে রূপান্তর। এমনও হয়েছে ৩২টি শটের পরে একটি দৃশ্য ওকে হয়েছে। এই বিশেষ দৃশ্য অভিনেতাকে যেন নিংড়ে নিয়েছে। শট দেওয়ার পরে তিনি আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারতেন না। এবং নেকড়ের মতো পেশি বানানোর জন্য তাঁকে অনেক নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করতে হয়েছে। বরুণের কথায়, ‘পেশি গড়তে প্রচুর শাকসব্জি খেয়েছি। আর মাংস। শর্করা জাতীয় খাবার একেবারেই খেতাম না। যাতে শরীরে মেদ না জমতে পারে। আর প্রচুর মুরগির মাংস খেয়েছি। আমার খাবারের পর প্লেটে এত পরিমাণে মাংসের হাড় জমত যে কৃতী শ্যানন থেকে সেটের সবাই আড় চোখে চেয়ে দেখত!’ হাসতে হাসতে অভিনেতা জানিয়েছেন, সবাই নাকি বলাবলি করতেন, যে হারে মাংস খাচ্ছেন দেখে মনে হচ্ছে, ছবিতে অভিনয় করতে করতে বরুণ বোধহয় সত্যিকারের ‘ভেড়িয়া’ হয়ে গিয়েছেন! অনেকে ‘কুলি নম্বর ১’-কে এও নাকি জানিয়েছেন, এই পরিমাণ মাংস খেলে অরুণাচলের সমস্ত মুরগি ফুরিয়ে যাবে!
কৌতুকাভিনয় বরুণের মজ্জায়। এই প্রথম তার সঙ্গে ভৌতিক আবহ, রহস্য-রোমাঞ্চ মিশেছে। নেকড়ে-মানুষ ‘ভাস্কর’ বরুণের উপরে কতটা ছাপ রেখে গিয়েছে? অভিনেতার দাবি, অনেকটা। এই ছবি করতে গিয়ে তিনি প্রকৃতির কাছাকাছি এসেছেন। শ্যুটিংয়ের ৮০ শতাংশ হয়েছে অরুণাচলের গভীর জঙ্গলে। পাহাড়ের খাড়াই বেয়ে দৌড়নো, ওঠানামা করা তাঁর শরীরকে যেন আরও মজবুত এবং পেশিবহুল করেছে। বরুণের আরও বক্তব্য, ‘ভেড়িয়া’র গল্প অরুণাচলের সত্যি ঘটনার উপরে তৈরি। ফলে, অভিনয় করতে করতে একেক সময় তাঁর গা ছমছম করে উঠেছে! এই জায়গা থেকেই প্রশ্ন, তিনি কোন পশুতে রূপান্তরিত হতে চান? বরুণের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘ভেড়িয়া। কারণ, আমি কুকুর ভালবাসি। আর কুকুর নেকড়ে প্রজাতির প্রাণী। এ ছাড়া, নেকড়ের ক্ষিপ্র গতি, পেশিবহুল চেহারা আমার ভীষণ পছন্দ। বলতে পারেন, এই চরিত্রে অভিনয় করতে করতে আমি নেকড়ের প্রেমে পড়ে গিয়েছি!’’’
আরও পড়ুন
আর্জেন্তিনা গোল করলে আমরা যা করি সেটা কোনও মেয়ের বসে দেখা সম্ভব নয়: রাহুল অরুণোদয়
‘মেয়ে’ কোলে নিয়ে খেলা দেখব, জানি আর্জেন্তিনাই জিতবে: দিব্যজ্যোতি দত্ত
‘মমতা দিদিই ঠিক, চপ-মুড়ি বিক্রি লজ্জার নয়!’ কলকাতার রাস্তায় চা-ওমলেট বেচে বুঝলেন সীমা বিশ্বাস