সংক্ষিপ্ত
- প্রতিদিন সাধারণ খাওয়া দাওয়া মোটেই ভালো লাগে না
- ছুটির দিনগুলিকে জমিয়ে তুলতে বিভিন্ন রকমের রেসিপি শিখে রাখাই যায়
- পোস্তর রেসিপি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর
- সামনেই পুজো তাই নানান পদ শিখে রাখাই যায়
যে কোনও পোস্তর পদ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর এই পোস্তর সঙ্গে যদি যুগলবন্দী তে থাকে মটন, তবে আর কথাই নেই। তার মধ্যে সামনেই পুজো তাই নানান পদ শিখে রাখলে, বাড়িতে আসা অতিথিদের তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন, আপনার রান্নার কেরামতি দেখিয়ে। তাছাড়া সপ্তাহ শেষের ছুটির দিনগুলি আর পাঁচটা দিনেক মতো সাধারণ খাওয়া দাওয়া মোটেই ভালো লাগে না। তাই ছুটির দিনগুলিকে জমিয়ে তুলতে বিভিন্ন রকমের রেসিপি শিখে রাখাই যায়। তাই দেরি না করে চটজলদি দেখে নেই, মটন পোস্তর অনবদ্য এই রেসিপি।
মটন পোস্ত বানাতে লাগবে-
মটন ৫০০ গ্রাম
নারকেলের দুধ হাফ কাপ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১ চা চামচ
কাশ্মিরি লঙ্কার গুঁড়ো ১ চা চামচ
আদা বাটা ২ টেবল চামচ
রসুন বাটা ২ চা চামচ
পোস্ত বাটা হাফ কাপ
পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ
ঘি ১ টেবল চামচ
রোস্টেড জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা ৩ থেকে ৪ টে
লবন স্বাদ মতন
যে ভাবে বানাবেন-
মটন খুব ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। প্রেসার কুকারে সামান্য লবন দিয়ে মটন সিদ্ধ করে নিয়ে জল আলাদা করে সরিয়ে রাখুন। কড়াই গরম করে তাতে ঘি দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি লাল করে ভেজে নিন। এরপর এতে আদা বাটা, রসুন বাটা-সহ সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিন। প্রয়োজনে মটনের স্টক ব্যবহার করুন। কারণ রান্নায় আলাদা জল ব্যবহার করবেন না, মটনের স্টকেই রান্না করলে স্বাদ বজায় থাকবে। মশলা খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়ে, তেল বেরিয়ে এলে সেদ্ধ করা মাংস দিয়ে আরও মিনিট ২০ কষিয়ে নিন। মাংস কষানো হয়ে গেলে ঢেকে রান্না করে খুব ভালো করে সিদ্ধ করে নিন। রান্নার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে মাংস খুব ভালো মতো সিদ্ধ হয়। যাতে চামচে করে কেটে নেওয়া যায়, এমন ভাবেই এই রান্নায় মাংস সিদ্ধ করতে হয়। সেদ্ধ করার পর এরপর উপর থেকে নারকেলের দুধ ও পোস্ত বাটা দিয়ে আরও মিনিট ১৫ রান্না করুন। প্রয়োজন মত গ্রেভি শুকিয়ে নিন বা রেখে উপর থেকে সামান্য ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।গরম গরম ভাত বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন অন্য স্বাদের মটনের এই পদ।