সংক্ষিপ্ত

  • রোগা হওয়ার জন্য আনারস খান
  • আনারস মেদ ঝরাতে সাহায্য করে
  • এই ফলের পুষ্টিও অনেক
  • স্বাস্থ্যকর উপায় রোগা হতে আনারস খান

গত দেড় বছর ধরে বাড়িতেই দিন কাটছে। গুটি কয়েক বাদে বেশিরভাগ অফিসও এখন চলছে বাড়ি থেকেই। আড্ডা, ঘুরতে যাওয়ার মতো বিষয় এখন জীবন থেকে প্রায় চলে গিয়েছে বললেই চলে। সে সবই এখন অতীত। ফলে দিনের পর দিন বাড়িতে বসে থাকার ফলে বাড়ছে মেদ। সারাক্ষণ বসে বসে অফিসের কাজ, তারপর বাড়ির টুকিটাকি কাজ, সিনেমা দেখা নয়তো গল্পের বই পড়া। এর মধ্যেই এখন জীবন সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাড়িতে নিয়ম করে ব্যায়াম করতে অনেকেরই ভালো লাগে না। তাই হালকা শরীর চর্চার পাশাপাশি আনারস খেয়ে ঝরিয়ে ফেলতে পারেন মেদ। 

আরও পড়ুন- করোনাকালে গর্ভবতী হয়েছেন, ভুলেই খাবেন না এই ৫ ফল, অজান্তেই হবে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি

অনেকেই ভাবতে পারেন যে আনারস কেমন করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে। এই ফল ওজন কমাতে অনেকটা সাহায্য করে। কারণ, এই ফল প্রদাহ কমাতে ও হজমে সাহায্য করে। মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে মেদ ঝরানো সহজ হয়। এই ফলের পুষ্টিও অনেক। তাই ওজন কমানোর জন্য আজ থেকেই ডায়েটে রাখতে পারেন আনারস। 

আরও পড়ুন- সর্বনাশ, অতিরিক্ত এই খাবার খেয়েই ডেকে আনছেন মৃত্যু, বাড়ছে মারণ রোগ ক্যান্সারের আশঙ্কা

আনারস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাবমেড সেন্ট্রাল-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, আনারসে উপস্থিত এনজাইম এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলি সঠিক হজম হতে সাহায্য করে। এর ফলে ওজন কমাতে এবং প্রদাহ নিরাময়ে সহায়তা করে আনারস। আনারসে জল, ডায়েটরি ফাইবার এবং ব্রোমেলিন থাকে। এটি কেবলমাত্র পুষ্টি শোষণেই সহায়তা করে না, এটি অন্ত্রের গতি কমিয়ে দেওয়ার জন্যও ভালো। আনারসে ক্যালোরি কম থাকে তবে এটি বেশ পুষ্টিকর। এক কাপ আনারসে ৮২ ক্যালোরি থাকে। আর আনারস খাওয়ার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। এর ফলে আপনার ওজনও দ্রুত হ্রাস পাবে। এছাড়া আপনি যদি নিয়ম করে রোজ আনারস খান তাহলে তা খিদে কমিয়ে দিতেও সাহায্য করবে।

আনারস ডায়েট 

স্বাস্থ্যকর উপায় রোগা হতে চাইলে আনারসের জুরি মেলা ভার। তবে আনারসের পাশাপাশি আপনাকে খাবারও খেতে হবে। না হলে পেটে অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এই ডায়েট শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এই ডায়েট আপনার পক্ষে কতটা কার্যকরী তা আগে জেন নিন। 

আরও পড়ুন- আড্ডা বা কাজের চাপ, চায়ে চুমুকে বাজিমাত, আর এ অভ্যাসেই লুকিয়ে ভয়ানক বিপদ

ব্রেকফাস্টে রুটি, এক বাটি ফ্যাটবিহীন দই এবং আনারস ১০০ গ্রাম খান। এরপর দুপুরের খাবারে রাখুন ১০০ গ্রাম আনারস, ১০০ গ্রাম গ্রিলড চিকেন এবং ভেজিটেবল স্যুপ। বিকেলের জলখাবারে এক কাপ ফ্রেস আনারসের জুস খান। আর রাতের খাবারে রাখুন আনারস স্যালাড, চিকেন ও ভাত ১০০ গ্রাম। আর এই সব খাবার খাওয়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে ভুলবেন না।