সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আবহে নিয়ম ভাঙার অপরাধ
  • ইংল্যান্ড দল থেকে বহিষ্কৃতি দুই ফুটবলার
  • দুই তারকাকে ৪ ম্যাচের জন্য বহিষ্কার
  • ঘরে মহিলা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
     

ফিল ফোডেন। কলকাতার ফুটবল প্রেমি মানুষদের কাছে এই নামটা খুব একটা অপরিচিত নয়। কারণ তিন বছর আগে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে তার পায়ের জাদুতে মজেছিল সকলেই। যুবভারতীতে হিরোর তকমা পেয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ ফাইনালেও পেয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কার। ইংল্যান্ডে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ফডেন। বর্তমানে ইংল্য়ান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ক্লাবে খেলেন তিনি। সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলেও।  কিন্তু ইংল্যান্ড দলে সুযোগ পেয়েই এবার বিতর্কে জড়ালেন এই ফুটবল তারকা। ঘরে মহিলা ঢোকানোর অপরাধে ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়লেন তিনি।

আরও পড়ুনঃআজ সুইডেনের বিরুদ্ধে মাঠে ফিরতে পারেন রোনাল্ডো, লক্ষ্য শততম গোল

শনিবার নেশনস লিগে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক হয় ফিল ফোডেনের। তারপরই অভিযোগ হোটেলের রুমে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাদের ঘরে দুই নারীর উপস্থিতির ঘটনা। শুধু ফোডেন নয় একই দোষে দোষী আরও এক ইংল্যান্ড তারকা মেসন গ্রিনউডও। আসলে জাতীয় দলের হয়ে আইসল্যান্ডে খেলতে গিয়ে ২০ বছরের ফোডেন এবং ১৮ বছরের গ্রিনউড একসঙ্গেই দুই মহিলাকে লুকিয়ে টিম হোটেলে ঢোকান। কিন্তু সিসিটিভি ঝরা পড়ে যান দুই ফুটবল তারকা মহিলা দুজনকে তাদের বান্ধবী বলে পরিচয় দিলেও, তাদের বান্ধবীদের সঙ্গে কোনও মিল নেই হোটেলের দুই মহিলার।

আরও পড়ুনঃধোনির অনুশীলনের নতুন ভিডিও শেয়ার করল সিএসকে, যা দেখে অবাক ইরফান পাঠান

আরও পড়ুনঃ৬ বলে ৬ বোলারের ডেলিভারি নকল করে ভাইরাল বুমরা, দেখুন ভিডিও

এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই শাস্তির মুখে পড়লেন দুই ফুটবল তারকা। কারণ করোনা আবহে যেখানে টিমের প্লেয়ারদের একে অপরের ঘরে যাওয়ার অনুমতি নেই, সেখাবনে দুই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলাকে ঘরে ঢোকানোর অপরাধ, আর দ্বিতীয়ত,ফোডেনরা যাদের নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের সম্পর্কে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে কোনও তথ্য ছিল না।  ফলে এই জোড়া অপরাধে তাঁদের চার ম্যাচ করে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবল অ্যাসসিয়েশন। যদিও সরকারিভাবে শাস্তির মেয়াদ ১ ম্যাচ। সূত্রের খবর, আগামী মাসে ইংল্যান্ডের যে গোটা তিনেক ম্যাচ খেলার কথা, তাতেও ওই তিন তারকাকে ডাকা হবে না। সেই সঙ্গে আইসল্যান্ডের প্রশাসনকে মোটা অঙ্কের জরিমানাও দিতে হবে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই দুই ফুচবলারের নিন্দা করেছে তাদের ক্লাব ম্যান সিটি ও ম্যান ইউ। সমালোচনায় সরব হয়েছে ফুটবল বিশ্ব।