সংক্ষিপ্ত
- প্রয়াত কেরলের ফুটবলার ধনরাজন
- খেলার মাঠেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি
- কলকাতার তিনপ্রধানেই খেলেছেন ধনরাজন
- শোকের ছায়া ফুটবলমহলে
২০০৮ সালে প্রথম পা রেখেছিলেন কলকাতা ময়দানে। প্রথমে মোহনবাগান, তারপর মহামেডান, আর সবশেষে ইস্টবেঙ্গল, ময়দানে তিনটি বড় ক্লাবের হয়েই খেলেছেন। খেলার মাঠেই মারা গেলেন কেরলের ফুটবলার রাধাকৃষ্ণন ধনরাজন। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণের শোকের ছায়া ফুটবলমহলে।
কেরলে পেরিনদেলমান্নায় স্থানীয় একটি টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছিলেন ধনরাজন। তখনও ম্যাচ শেষ হয়নি। অসুস্থ হয়ে পড়েন কলকাতার তিন প্রধানে খেলে যাওয়া ফুটবলারটি। বুকে হাত দিয়ে মাঠেই শুয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ধনরাজনকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে ৩৯ বছর বয়সী ওই ফুটবলারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খেলা চলাকালীনই ধনরাজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মহিলা হোটেল কর্মীর দরজায় ধাক্কা, কলকাতায় অশালীন আচরণ দুই দিল্লি ক্রিকেটারের
আরও পড়ুন: দানিশের দাবি খারিজ ইনজামামের, সৌরভের নাম টানলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক
ধনরাজনের ফুটবল কেরিয়ার শুরু হয় ভিভা কেরলে। ওই ক্লাবে বিখ্যাত কোচ টিকে চাত্তুনির তত্ত্বাবধান খেলেছিলেন তিন বছর। চাত্তুির অন্যতম প্রিয় ছাত্র ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে কলকাতার ইউনাইটেড স্পোটর্স ক্লাবে খেলতে আসেন ধনরাজন। টানা বেশ কয়েক বছর মোহনবাগানেও খেলেছেন কেরলের এই সাইড ব্যাক। খেলেছেন মহামেডান ও ইস্টবেঙ্গলেও। ধনরাজের নেতৃত্বে ডুরান্ড কাপ ও আইএফএ শিল্ড জেতে মহামেডান। ময়দানে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথা খেলোয়াড় হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ধনরাজ। মাঠে কখনই তাঁকে বিশৃঙ্খল আচরণ করতে বা মাথা গরম করতে দেখা যায়নি। কোচিং করানোর পরিকল্পনা ছিল, সম্প্রতি 'ডি' লাইসেন্সও পূর্ণ করেছিলেন কেরলের এই ফুটবলারটি।
২০০৪ সাল। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি মোহনবাগান ও ডেম্পো। খেলার চলাকালীন মাঠে লুটিয়ে পড়েছিলেন ডেম্পোর জুনিয়র। শেষপর্যন্ত মারাও যান তিনি। সেই ঘটনার স্মৃতি ফিরল কেরলে।