সংক্ষিপ্ত

  • এআইএফএফ-এর সঙ্গে আইলিগ ক্লাবগুলির দ্বন্দ্ব চলছে
  • ভারতীয় ফুটবলে নেমৈ এসেছে তীব্র সঙ্কট
  • এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ ক্লাবগুলির জোট
  • সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের অনুরোধ

ভারতীয় ফুটবলে গত কয়েক মাস ধরেই কিছুই যেন ঠিকঠাক চলছে না। আইএসএল বনাম আইলিগ - এই দ্বন্দ্বে জেরবার ফুটবল মহল। এবার সেই সঙ্কট পৌঁছে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দরবারেও। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত চেয়ে এক কমিশন গঠন করার জন্য তাঁকে চিঠি দিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সহ আইলিগের ছয় ক্লাবের জোট।

ভারতীয় ফুটবলকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে একটি চিঠি লিখেছেন মোহনবাগানের ম্যামনেজি, ডিরেক্টর টুটু বসু। ওই চিঠিতে সাক্ষর করেছেন ইস্টবেঙ্গল, চার্চিল ব্রাদার্স, গোকুলাম কেরল, মিনার্ভা পঞ্জাব, ও আইজল এফসি-র কর্তারা।

এই চিঠিতে তাঁরা দাবি করেছেন, সাম্প্রতিককালের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ২০১৩ সালে চালু হওয়া আইএসএল-কেই দেশের এক নম্বর ফুটবল লুগ করতে চাইছে ফেডারেশন। ২০০৭ সালে দেশের প্রথম পেশাদার লিগ হিসেবে চালু হয়েছিল আইলিগ। তাকেই দ্বিতীয় সারিতে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। সারা পৃথিবীর মতো ভারতেও ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু উপয়ুক্ত প্রশাসনের অভাবে ক্রমেই এই খেলাটি জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে।

আরও পড়ুন - শ্যাম রাখবে না কুল রাখবে ভেবে আকুল ফেডারেশন! সাত আইলিগ ক্লাব দিল আদালতের হুমকি

আরও পড়ুন - ফিফা ক্রমতালিকা - শীর্ষে বেলজিয়ামই, কিংস কাপে তৃতীয় হয়ে ভারত কী উঠল

আরও পড়ুন - পিছনে পড়লেন লিওনেল মেসি, আগে ভারত অধিনায়ক

এর আগে এই ছয় ক্লাবের জোট পেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তারপরই এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল্ল প্য়াটেল ক্লাবগুলিকে বরাভয় দিয়েছিলেন, অন্তত সামনের ২-৩ বছর যাতে আইএসএল ও আইলিগ এখনকার মতোই একসঙ্গে চলতে পারে তার জন্য তিনি এএফসি-র কাছে দরবার করবেন। একদিন সময় নিয়ে ক্লাবগুলি তাঁর অধিকাংশ প্রস্তাব মেনেও নিয়েছিল।

২০১০ সালে নীতা অম্বানির আইএমজি রিলায়েন্স সংস্থার সঙ্গে চুক্তির সময়ই আইএসএল-কে ভারতের শীর্ষ লিগের মর্যাদা দেওয়ার কথায় সম্মতহয়েছিল ফেডারেশন। কিন্তু আইলিগের ক্লাবগুলির প্রশ্ন, আইএসএল হল ফুটবলের আইপিএল। পুরোপুরি একটি বাণিজ্যিক লিগ। এই লিগে কোনও প্রোমোশন-ডিমোশন'ও নেই। ফলে লিগটির প্রাসঙ্গিকতাই নেই। এই লিগকে কী করে দেশের এক নম্বর লিগ করতে পারে এআইএফএফ?

মোদী-ম্যাজিকে শোনা যায় অনেক জটিল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়য় নিমেষেই। ভারতীয় ক্লাব ফুটবল যে অন্ধকূপে পড়েছে, তা থেকে কি 'সব খেলার সেরা' খেলাটাকে বার করে আনতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী? এটাই এখন দেখার।