সংক্ষিপ্ত
এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনালে (AFC Inter Zonal Semi Finals) হার এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan)। কুয়ালা লামপুরের (Kuala Lumpur FC)কাছে ৩-১ গোলে হারতে হল জুয়ান ফেরান্দোর দলের। এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনাল থেকে বিদায় সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডের।
ডুরান্ড কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও বড় ধাক্কা খেল এটিকে মোহনবাগান। এবার এএফসি কাপে আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনাল থেকে বিদায় জুয়ান ফেরান্দোর দলের। ডুরান্ড কাপে দলের যে সমস্যা ছিল তার যে কোনও মেরামতিই হয়নি তা কুয়ালা লামপুর এফসির বিরুদ্ধে হার আরও একবার প্রমাণ করে দিল। সেই ভুরি ভুরি গোলের সুযোগ নষ্ট, মাঝ মাঠে ছন্নছাড়া ফুটবল, চুড়ান্ত জঘন্য ডিফেন্স। যার ফলস্বরুপ ৩-১ গোলে ম্য়াচ হেরে গতবারের মতই এবারও এএফসি কাপে সেমি থেকেই বিদায় নিতে হল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডে। ম্যাচে কুয়ালা লামপুর এফসির হয়ে তিনটি গোল করেন পাওলো জোসু, ফকরুলেন আইমান ও রোমেল মোরালেস। এটিকে মোহনবাগানের একনমাত্র গোলটি করেন ফারদিন মোল্লা।
এদিন ম্যাচের শুরুটা কিন্তু খুব একটা খারাপ করেনি এটিকে মোহনবাগান। প্রথম থেকেই খেলার রাশ নিজেদের হাতে নিয়েছিল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। ম্য়াচের ৮ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাগান। মনবীর বক্সের ভিতরে একটি ভালো বল সুইং করেন। পোগবা সেই বলে মাথা ছোঁয়ালেই গোল ছিল। কিন্তু কুয়ালালামপুর ডিফেন্স সেটি ক্লিয়ার করে দেয়। ম্য়াচের ১৪ মিনিটে কাউকো একটি ভালো পাস বাড়িয়েছিল। লিস্টন সেই বল ধরে গোলে রাখতে পারলেই গোল ছিল। কিন্তু বলই ধরতে পারেননি লিস্টন কোলাসো। ১৭ মিনিটে কোলাসো একটি শট নিয়ে কুয়ালা লামপুরের গোলরক্ষক সেটি ধরে ফেলেন। ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরো খেলা ধরে রেখেছিল বাগান। ৮০ শতাংশ বল পজিশন ছিল তাদের দখলে। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি। কুয়ালা লামপুর দু-একটি সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু গোল আসেনি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। পাশাপাশি খোলস ছেড়ে বেরোয় কুয়ালা লামপুর। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে তারাষ যার ফলও মেলে ম্য়াচের ৬০ মিনিটে। কুয়ালা লামপুরের তারকা পাওলো জোসু গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর গোল শোধ করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল শোধ করে বাগান। ফারদিন মোল্লার দুরন্ত গোল করে। সেই সময় সকলেই ভেবে নিয়েছে ১-১ -এ বাজবে শেষ বাঁশি। কিন্তু ম্যাচেপ ইনজুরি টাইমে পরপর দুটি গোল করে কুয়ালা লামপুর এফসি। ৯২ মিনিটে ফকরুলেন আইমানের গোলে ব্যবধান বাড়ে ও ৯৫ মিনিটে রোমেল মোরালেস গোল করে এটিকে মোহনবাগানেক স্বপ্ন শেষ করে দেয়। ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে কুয়ালা লামপুর এফসি।