সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্ক কিছুটা কমায় শিথিল হয়েছে স্পেনের লকডাউন
- প্লেয়ারদের ব্যক্তিগতবাবে অনুশীলনে ফেরার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন
- তবে অনুশীলনে ফেরার আগে লা লিগৈর সমস্ত প্লেয়ারদের হবে করোনা পরীক্ষা
- তারপরই অনুশীলনে ফিরতে পারবে মেসি, সুয়ারেজ, গ্রীজম্যানরা
main body-
ইউরোপের বেশ কিছু দেশের মতই লকডাউন শিথিল হয়েছে স্পেনেও। ধীরে ধীরে আসা আলো দেখছে স্পেনও। লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লা লিগার ফুটবলারদের ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছ স্প্যানিশ প্রশাসন। স্পেন, ইতালি, জার্মানি, ব্রিটেন সহ বেশ কিছু দেশে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আশার আলো দেখছে ইউরোপিয়ান ফুটবলও। তবে লিগ কবে থেকে শুরু হবে সে বিষয়ে এখনও কোনও ত চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃকী নাম রেখেছেন নিজের দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের,জানালেন স্বয়ং সাকিব আল হাসান
তবে অনুশীলনে ফেরার জন্য বেশ কিছু শর্ত রেখেছে স্পেন সরকার। অনুশীলন শুরুর আগে লা-লিগায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ফুটবলারের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন। সেই পরীক্ষায় সফল হলে তবেই অনুশীলনে ফিরতে পারবেন মেসি, গ্রিজম্যানরা। করোনাভাইরাসের জেরে মার্চে স্থগিত হওয়া লা-লিগার চলতি মরশুম আগামী জুনে শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার স্পেনের লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ। একইসঙ্গে ফুটবলারদের অনুশীলনে ফেরার অনুমতিও দেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। যদিও অনুশীলনের ক্ষেত্রেও কয়েকটি ধাপ মেনে চলতে হবে ফুটবলারদের। জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার থেকে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলনে ফিরতে পারবেন ফুটবলাররা। টানা এক সপ্তাহ ব্যক্তিগত অনুশীলনের পর ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে সেদেশের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে তারপরেই লিগ চালু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ৩৯ লক্ষ টাকার তহবিল গঠন আইসিএ-র, অনুদান দিলেন কপিল দেব,সুনীল গাভাস্কাররা
ফলে যতটা সহজ মনে হচ্ছিল খেলার মাঠে ফেরা, ততটা সহজ নয়। প্লেয়ার, কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ, গ্রাউন্ড ম্যান সকলের নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখেই অনুশীলনে নামতে পারবে প্লেয়াররা। তা ছাড়াও মানতে হবে একাধিক নিয়ম কানুন। ছোট ছোট দলে অনুশীলন শুরু হওয়ার পর তা আরও কড়াকড়ি করা হবে। কারণ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ স্পেন প্রশাসন।