সংক্ষিপ্ত
- এআইএফএফ-এর এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি দশা
- নীতা আম্বানি চাপ দিচ্ছেন আইএসএল-কে ভারতের এক নম্বর ফুটবল লিগ ঘোষণা করতে
- আবার আইলিগের সাত ক্লাব হুমকি দিয়েছে আদালতে যাওয়ার
- সবার চোখ এখন ৩ জুলাইয়ের বৈঠকের দিকে
দিন কয়েক ধরেই শোনা যাচ্ছিল নীতা আম্বানির সংস্থা এফএসডিএল-এর চাপে আইএসএল-কেই ভারতের এক নম্বর ফুটবল লিগ ঘোষণা করতে চলেছে এআইএফএফ। সোমবার ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সহ আইলিগের ৭টি ক্লাব নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যদি আইএসএলকে এক নম্বর লিগ ঘোষণা করা হয় তাহলে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতে যাবেন।
অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে এআইএফএফ। জানালো এখনই এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। কোন লিগ প্রাধান্য পাবে, কোনওভাবে আইলিগ-আইএসএলকে মিলিয়ে দেওয়া যাবে কি না, তাই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এএফসি ও ফিফার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন - ফিফা ক্রমতালিকা - শীর্ষে বেলজিয়ামই, কিংস কাপে তৃতীয় হয়ে ভারত কী উঠল
আইএসএল-এর শুরুর থেকেই ফেডারেশনের স্পন্সসর তথা আইউএসএল-এর উদ্যোক্তা এফএসডিএল-এর শর্ত ছিল আইএসএল-কেই এক নম্বর লিগের মর্যআদা দিতে হবে। কিন্ত ফেডারেশন এখনও তা করে উঠতে পারেনি। তবে আগামী ৩ জুলাই তারিখে ফেডারেশনের কর্মসমিতির সভা থেকেই সেই সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে বলেই খবর রয়েছে।
আরও পড়ুন - এটিকের রক্ষণে নতুন আইরিশ ফুটবলার! সই করলেন দুই মাইকেলও
এরপরই সোমবার দিল্লিতে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন সাতটি আইলিগ ক্লাবের কর্তারা। তাঁরা জানান ইতিমধ্যেই আইনজীবী ঠিক হয়ে গিয়েছে তাঁদের। সব নথি পত্রও সেই আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এআইএফএফ-এর কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে এলেই মামলা করা হবে বলে হুমকিও দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - বাংলা ফুটবলের লজ্জা! ফের মাঠে পড়ল বোতল, ভেস্তে গেল ছোটদের ডার্বি
এরপরই এক বিবৃতি দিয়ে ফেডারেশন দাবি করেছে, কোন লিগকে প্রাধান্য দেওয়া হবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কাজেই আইলিগের ক্লাবগুলি এই বিষয় নিয়ে অযথাই হইচই করছে। আই লিগের ভবিষ্যত নির্ধারণ করার জন্য এএফসি সচিব দাতো উইন্ডসর-কেও ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
ফেডারশনের এখন শ্য়াম রাকি না কুল রাখি দশা। আইলিগের ক্লাবগুলিকে চটালে ভারতের ফুটবল কাঠামোই ভেঙে যেতে পারে। আর এফএসডিএল-এর শর্ত না মানলে টাকা আসবে না। এই অবস্থায় সবার চোখ রয়েছে ৩ জুলাইয়ের বৈঠকের দিকে।