সংক্ষিপ্ত
- আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াল ইষ্টবেঙ্গলের আইএস খেলা
- ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের পরীক্ষার জন্য সময় বেধে দিল ফেডারেশন
- ১০ দিনের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া পূরণ করে পাঠাতে হবে ফর্ম
- এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠক ডাকল লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ
এটিকের সঙ্গে মোহনবাগানের সংযুক্তি ও সবুজ মেরুণের আইএসএল খেলা নিশ্চিৎ হওয়ার পর থেকেই চাপ বাড়ছিল ইষ্টবেঙ্গল কর্তাদের উপর। ক্লাব সমর্থকদের আইএসএল খেলার বিষয়ে সমর্থকদের মৌখিকভাবে আশ্বস্তও করেছিলেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু এবার লাল-হলুদ কর্তাদের উপর চাপ আরও বাড়াল ফেডারেশন। আইএসএল ক্লাব লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসার জন্য ইষ্টবেঙ্গলকে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
আরও প্রকাশিত হল কাতার বিশ্বকাপের সূচি, ২০২২-এর নভেম্বরে শুরু হবে ফুটবল মহাযজ্ঞ
ভারতীয় ক্লাবগুলির লাইসেন্সের ক্ষেত্রে কী কী শর্ত থাকবে, তার একটা খসড়া তৈরি করে এএফসির কাছে পাঠিয়েছিল ফেডারেশন। যাবতীয় আইনি দিক খতিয়ে দেখে ফেডারেশনের খসড়া ঠিকঠাক করে মঙ্গলবার বিকেলে ফেডারেশনের কাছে পাঠিয়ে দেয় এএফসি। তারপরই ক্লাব লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসার জন্য ২৩ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়ে ইস্টবেঙ্গল সহ আই লিগ, আইএসএলের সব ক্লাবকে চিঠি দিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ফলে অন্য ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রে চাপের কিছু তৈরি না হলেও, কোয়েসের থেকে এখনও নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না আসায় ফেডারেশনের এই চিঠিতে রীতিমতো চাপে পড়লেন লাল-হলুদ কর্তারা। এর মধ্যেই শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে কার্যকরি কমিটির মিটিং ডাকল ইস্টবেঙ্গল। সেখানেই আইএস এল খেলা নিয়ে আলোচনা করবেন ক্লাব কর্তারা।
আরও পড়ুনঃতৃতীয় দফার পরীক্ষায় করোনা থেকে মুক্তি পেলেন মাশরফি মোর্তাজা
নো অবজেকশন চেয়ে কোয়েসের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কোয়েস চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাক এনওসি দিতে রাজি। কিন্তু বিচ্ছেদের কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে যা ঠিক করতে বেশ কিছু সময় লেগে যাচ্ছে। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে সব প্রক্রিয়া পুরো করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের। আগামী ১০দিন সময়ের সঙ্গে লড়তে হবে লাল-হলুদ কর্তাদের। না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ বা আইএসএল খেলা। ফেডারেশনের এই চিঠি পর উদ্বেগ আরও বেড়েছে ইষ্টবেঙ্গলের সমর্থকদেরও। পড়শি ক্লাব আইএসএলে খেলা নিশ্চিৎ করে ফেলায় ক্লাব কর্তাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে সদস্য ও সমর্থকরা। তবে শেষ হাসি ইষ্টবেঙ্গল কর্তারা হাসতে পারে কিনা এখন সেটাই দেখার।