খাবারদাবার ফ্রিজে রাখছেন, ভুল করছেন না তো?
প্রতিটি বাড়িতে একটি রেফ্রিজারেটর রাখার উদ্দেশ্যই হল তাজা খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করা এবং সেগুলিকে টানা বেশ কয়েক দিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখা। আমরা শাকসবজি, ফল, মাংস, ডিম, মাছ, মাংস, অবশিষ্ট ভাত, ডাল, তরকারি, আইসক্রিম সহ যাবতীয় পছন্দের খাবারদাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখি। তবে মনে রাখবেন, ফ্রিজ কিন্তু আসলে আপনার রান্নাঘরে ব্যবহার করা সমস্ত কিছু সঞ্চয় করে রাখার জন্য উপযুক্ত নয়। এমন কিছু কিছু খাবার বা শাকসবজি আছে, যেগুলো সবসময় ফ্রিজে সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেইসমস্ত উপাদানগুলি, যেগুলো ফ্রিজের ঠাণ্ডা তাপমাত্রা ছাড়াই বহুদিন সতেজ থাকে।
/ Updated: Aug 03 2022, 10:15 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
আপনি যদি পুদিনাকে তাজা এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে চান তবে এটি ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। পুদিনা পাতাকে তাজা রাখার কৌশল হল, ডালপালা সুদ্ধ একটা কাপ বা গ্লাসের জলে ডুবিয়ে রাখা। পুদিনা পাতা ফ্রিজে রাখলে পাতা কালো হয়ে যাবে, কারণ পাতাগুলো ফ্রিজে মজুত রাখা অন্যান্য খাবারের গন্ধে নেতিয়ে পড়বে।
বেশিরভাগ বাড়িতে একটা খুব প্রচলিত কাজ হল পাউরুটিকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা। এটা খুব চলতি একটা ভুল এবং আপনিও যদি স্লাইস পাউরুটিকে ফ্রিজের ঠাণ্ডায় রাখেন, তাহলে কিন্তু আজই আপনাকে এটা করা বন্ধ করতে হবে। পাউরুটির টুকরো ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় বাসি হয়ে যায়। অবশ্যই কেউ কখনও বাসি এবং শুকনো পাউরুটির টুকরো খেতে পছন্দ করবে না।
আপনি বাজার থেকে রঙিন বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম কেনার পর সেগুলোকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করার দরকার নেই। এগুলো ফ্রিজের ভিতরে রাখলে বেল পেপারের খাস্তা ব্যাপারটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই সবজিকে সবসময় শীতল ও শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে, টুকরো টুকরো করে রাখলে অবশ্য সংরক্ষণটা ফ্রিজের ঠাণ্ডায় করতে পারেন।
মধু নিরাপদে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল পরিষ্কার পাত্রে সাধারণ ঠাণ্ডা এবং অন্ধকার জায়গায় রেখে দেওয়া। আপনি যদি রেফ্রিজারেটরে মধু সংরক্ষণ করেন তাহলে ভেতরের ঠাণ্ডা তাপমাত্রা মধুকে খানিকটা শক্ত (অনেক সময় গুঁড়ো গুঁড়ো) করে দেবে। এছাড়াও, ফ্রিজে রাখা মধুর গুণাগুণ অনেক কম হয়ে যায়।
টমেটো বলতে বোঝায় নরম অথচ সুগঠিত আর রসালো। আপনি যখন ফ্রিজের ভিতরে এগুলো রাখেন, তখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা তাপমাত্রার সাথে এগুলো খাপ খেতে পারে না। টমেটোতে উপস্থিত একটা এনজাইম এই ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় প্রতিক্রিয়া ঘটায়, যেটা এর ত্বকের ওপরে ঘামাচির মতো বিজকুড়ি তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, এর স্বাদও পরিবর্তিত হয়ে যায়।