শর্করা থেকে শুরু করে পিত্ত, জাম খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে বহু সমস্যা
- FB
- TW
- Linkdin
এসব রোগে জাম খাওয়া উপকারী
অগ্ন্যাশয় সক্রিয় করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং এটি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে পারে। যাদের হজমশক্তি খারাপ এবং প্রায়ই পেটের সমস্যা হয়, তাদেরও প্রতিদিন জাম খাওয়া উচিত।
যদি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম অর্থাৎ আইবিএসের সমস্যা থাকে, তাহলে তাদেরও প্রতিদিন জাম খাওয়া উচিত। আইবিএস হওয়ার সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল আপনাকে বারবার গতিতে যেতে হবে।
জাম কোলেস্টেরল কমায়, তাই এটি হার্টের জন্য ভালো। আপনার হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রতিদিন জাম খাওয়া উচিত। যদি আপনার শিশুর বিছানায় ঘুমানোর সমস্যা হয়, তাহলে তাকে প্রতিদিন জাম খাওয়াতে হবে। তার সমস্যা দূর হবে এবং শিশু সুস্থ থাকবে।
যেসব নারীদের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন অর্থাৎ ইউটিআই এর সমস্যা রয়েছে, তারা প্রতিদিন জাম খেলে তাদের সমস্যা তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। যাদের সাদা স্রাবের সমস্যা রয়েছে, তাদেরও প্রতিদিন জাম খাওয়া উচিত।
জাম কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো, এটি কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়। এমনকি যদি আপনার ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকে বা আপনার লিভার প্রায়ই খারাপ থাকে, তবে আপনার প্রতিদিন জাম খাওয়া উচিত। এতে আপনার লিভার দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
জাম খাওয়ার সঠিক উপায়
আপনি দিনে ৭০ গ্রাম পর্যন্ত জাম খেতে পারেন। এর বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কম হওয়ার সমস্যা হতে পারে। জাম সবসময় পরিষ্কার জলে দিয়ে ধুয়ে কালো লবণ বা গোলাপি লবণ লাগিয়ে খেতে হবে। লবনের সাথে জাম খেলে এর গুণাগুণ বৃদ্ধি পায় এবং শরীর দ্রুত এর উপকারিতা পায়।
শর্করার সমস্যা হলে জাম খাওয়ার পর তিন কুচি খেয়ে নিন। আপনার সুগার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনি যদি চান তবে এর দানা শুকিয়ে রাখুন এবং খাওয়ার আগে তিনটি দানা পিষে বা পিষে খান। এগুলি দিনে একবার খেতে হবে।
এই খনিজগুলি জাম থেকে পাওয়া যায়
জামে রয়েছে অনেক খনিজ। যেমন ফ্রুক্টোজ, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক সবই শরীরের হজম থেকে শুরু করে হাড় মজবুত করা পর্যন্ত অত্যন্ত কার্যকরীভাবে কাজ করে।
কখন জাম খাবেন না
স্বাদের কারণে বেশি খাবেন না, রক্তে সুগার কমে যায়।
উপোস বা ব্রতের সময় খুব বেশি জাম খাবেন না।
দুধ, হলুদ ও আচার খেলে তার পর অন্তত ১ থেকে ২ ঘণ্টা জাম খাবেন না।