- Home
- Sports
- Football
- কোপা ফাইনালে মেসি বনাম নেইমারের 'প্রেস্টিজ ফাইট', জানুন মুখোমুখি সাক্ষাতে এগিয়ে কোন তারকা
কোপা ফাইনালে মেসি বনাম নেইমারের 'প্রেস্টিজ ফাইট', জানুন মুখোমুখি সাক্ষাতে এগিয়ে কোন তারকা
- FB
- TW
- Linkdin
মেসি বনাম নেইমার, ক্লাব প্রতিযোগিতা-
২০১৭ সালের পর থেকে দু’জন খেলছেন আলাদা ক্লাবে। কিন্তু মজার ব্যাপার, ক্লাব প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ১ বারই দেখা হয়েছে মেসি-নেইমারের। সেটিও ১০ বছর আগে। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনা-পিএসজি মুখোমুখি হলেও, সে ম্যাচে খেলেন নি নেইমার।
ক্লাব প্রতিযোগিতায় দু’জনের দেখা ২০১১ সালে। সেবার ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে নেইমারের সান্তোসের মুখোমুখি হয় মেসির বার্সেলোনা। সান্তোসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বার্সা। জোড়া গোল করেন মেসি।
মেসি বনাম নেইমার, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা-
জাতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছেন মেসি-নেইমার। ১ম দেখা ২০১০ সালে একটি প্রীতি ম্যাচে। সেবার মেসির গোলে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা।
২০১২ সালে আবারো দেখা দু’দলের। এবারও মেসির জাদুতে জয় পায় আর্জেন্টিনা। নাটকীয় সে ম্যাচের শেষমুহুর্তে জয়সূচক গোলসহ হ্যাটট্রিক করেন মেসি। আর্জেন্টিনা জয় পায় ৪-৩ ব্যবধানে।
এর ২ বছর পর আবারো মুখোমুখি মেসি-নেইমার। তবে এবার জয় পায় ব্রাজিল। মেসির বিপক্ষে নেইমারের ১ম জয়। কিন্তু সে ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেন নেইমার।
দু’জনের সবশেষ দেখা হয় ২০১৬ সালে, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে। সেবার বড় জয় পায় ব্রাজিল। আর্জেন্টিনাকে হারায় ৩-০ গোলে। গোলের দেখা পান নেইমারও।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে বর্তমানে মেসির গোল সংখ্যা ৭৬। সেখানে কিন্তু মেসিকে খুব কম সময়ে টক্কর দিচ্ছে নেইমার। ইতিমধ্যেই ৬৮টি আন্তর্জাতিক গোল করে ফেলেছেন নেইমার।
এরপর কেটে গেছে দীর্ঘদিন। ৫ বছর পর আবারো মুখোমুখি মেসি-নেইমার। তবে এবার ট্রফির লড়াই। দেখা যাক, শেষ হাসিটা কার মুখে ফোটে।
ফাইনালের আগে নেইমার হুঙ্কার দিয়েছেন মেসি তার প্রিয় বন্ধু হলেও, ফাইনালে জিতবে ব্রাজিল। যদিও মেসির আর্জেন্টিনাকেই ফাইনালে চেয়েছিলেন নেইমার। অপরদিকে ট্রফি জিতেই ব্রাজিল ছাড়তে চান মেসিও।
মেসি-নেইমারের বন্ধুত্ব-
খেলার মাঠে একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়লেও, ব্যক্তিগত জীবনে মেসি ও নেইমার অন্তরঙ্গ বন্ধু। বার্সেলোনায় একসঙ্গে দু’জনে খেলেছেন দীর্ঘদিন। মেসি-নেইমার জুটিকে তখন ভয় পেত বিশ্বের বাঘা বাঘা ক্লাবগুলো। পেশাদারিত্ব ছাড়িয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের দুই তারকা পরিণত হন বেশ ভালো বন্ধুতে। সেই বন্ধুত্ব আজও অমলিন।