জেনে নিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের আটটি দলের শক্তি এবং দুর্বলতা
অনবদ্য ভঙ্গিতে ফিরে এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ভক্তদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বমহিমায় ফিরেছে সকলের প্রিয় প্রতিযোগিতা। যেই উত্তেজনা, যেই আবেগ-এর জন্য ভক্তরা এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন সেই সমস্ত কিছু ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে ইউসিএল। দু-দিনে চারটি অসাধারণ ম্যাচের সাক্ষী থাকলো ফুটবল দুনিয়া। তার মধ্যে ম্যাচই ভরা ছিল আশা-আকাঙ্ক্ষা, উদ্বেগ এবং অসাধারণ ফুটবলে ভরা। তার পরে অবশেষে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটি এবং অলিম্পিক লিওন। আগে থেকেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত ছিল পিএসজি, আটালান্টা, আর বি লেপজিগ, আতলেতিকো মাদ্রিদ। জেনে নিন তাদের শক্তি এবং দুর্বলতা গুলি।
| Published : Aug 10 2020, 04:31 PM IST / Updated: Aug 10 2020, 04:34 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
আর বি লেপজিগ-
শক্তি-
প্রত্যাশার অভাব। খুব সম্ভবত কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছনো সবচেয়ে দুর্বল দল তারা। তাদের নিয়ে বিশাল কোনও প্রত্যাশা নেই কারোরই। ফলে অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে তারা।
দুর্বলতা-
দলের অন্যতম অস্ত্র গোলমেশিন টিমো ওয়ার্নার ঘরোয়া মরশুম শেষ হওয়া মাত্রই যোগ দিয়েছেন চেলসিতে। ফলে আক্রমণভাগ আগের থেকে দুর্বল
অলিম্পিক লিওন-
শক্তি-
অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল। মেমফিস দিপাইয়ের মতো অভিজ্ঞ তারকার সাথে সাথে মুসা ডেমবলে, ব্রুনো গুইমারেস-এর মত তরুণ-রা লিওনের অন্যতম ভরসা। সদ্য পিএসজি এবং জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে করা পারফরম্যান্সগুলিও স্বস্তি দেবে তাদের।
দুর্বলতা-
ইউসিএলের মঞ্চে অভিজ্ঞতার অভাব এবং রক্ষণের ধারাবাহিকতার অভাব ভালোই ভোগাবে লিওন-কে।
আটালান্টা-
শক্তি-
সর্বগ্রাসী আক্রমণ। এই মরশুমে লিগে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আটালান্টা আক্রমণ লিগে ৯৮ টি গোল করেছে। লুইস মুরিয়েল, ডিভান জুপাটা যে কোনও রক্ষণভাগকে কাঁপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
দুর্বলতা-
ধারাবাহিকতার অভাব, রক্ষণের দুর্বলতা ও দলের প্রধান গোলস্কোরার জোসেফ ইলিসিচের না থাকা ভোগাবে দলকে।
প্যারিস সেন্ট জার্মেইন-
শক্তি-
দলে একাধিক বড় ফুটবলার। রয়েছেন নেইমারের মতো তারকার ফর্মে থাকা। পিছিয়ে থেকেও শেষ ষোলো-তে ডর্টমুন্ডকে হারানো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হওয়ার আগেই পর পর দুটি ট্রফি জিতে থাকা এসব দলের মনোবল বাড়াবে।
দুর্বলতা-
এই প্রতিযোগিতার নক্-আউটে দলের খারাপ রেকর্ড চাপে রাখবে দলকে। তাছাড়া এমব্যাপে, ভেরেত্তির মতো তারকাদের চোট ভোগাবে দলকে।
আতলেতিকো মাদ্রিদ-
শক্তি-
ধারাবাহিকতা এবং অভিজ্ঞতা। ফুটবল ফেরার পর থেকে একটিও ম্যাচে হারেনি দিয়েগো সিমিওনের দল। সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে দলের একাধিক তারকার।
দুর্বলতা-
দলে জেনুইন গোল স্কোরারের অভাব। তাছাড়া শোনা যাচ্ছে দলের নির্ভরযোগ্য দুই ফুটবলার করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত। যদি তা সত্যি হয় তাহলে তা বড়ো ধাক্কা হবে দলের কাছে।
ম্যানচেস্টার সিটি-
শক্তি-
সাম্প্রতিক ফর্ম দুর্দান্ত দলের। রিয়াল মাদ্রিদ-কে দাপট দেখিয়ে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে দল। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন মাঝমাঠের তারকা, এই মুহুর্তে বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার কেভিন দি ব্রুইন, যা নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওয়ালা-কে।
দুর্বলতা-
চলতি বছরে ডিফেন্স বারবার ভুগিয়েছে সিটি-কে। তা নিয়ে মাথাব্যথা এখনও যায়নি পেপ গুয়ার্দিওয়ালার।
বার্সেলোনা-
শক্তি-
দলে মেসির মতো তারকার উপস্থিতি সবসময় বাড়তি পাওনা। তাছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে দলের পারফরম্যান্স দেখে ভরসা পাচ্ছেন ভক্তরা।
দুর্বলতা-
চলতি মরশুমে দল হিসেবে ভালো খেলতে ব্যর্থ বার্সা। ডিফেন্সে ধারাবাহিকতার অভাবও চিন্তায় রাখবে তাদের।
বায়ার্ন মিউনিখ-
শক্তি-
ডিফেন্স থেকে আক্রমণ সব বিভাগেই ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে বাভারিয়ান নেকড়েরা। ধ্বংসাত্বক ফর্মে থাকা লিয়নডস্কি, মাঝমাঠে নিখুঁত টমাস মুলার, গোলে অভিজ্ঞ ম্যানুয়েল ন্যয়ার ভরসা দিচ্ছে বায়ার্ন ভক্তদের।
দুর্বলতা-
দলের প্রধান গোলরক্ষক জেরোম বোয়াতাংয়ের চোট ছাড়া দলে আর কোনও সমস্যা নেই। একমাত্র অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারে বায়ার্নের।