Depression-এ থাকলে ভুলেও খাবেন না এই ১০টি খাবার, বাড়তে পারে মানসিক জটিলতা
বয়স ৩০-এর কোটায় পা দিলেই হল, একের পর এক রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। এই তালিকায় আছে গ্যাসের সমস্যা, পেটের সমস্যা, ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ থেকে প্রেসারের সমস্যা মতো শারীরিক সমস্যা। তেমনই তাল মিলিয়ে বাড়ছে মানসিক জটিলতাও। মানসিক চাপ, অবসাদ, হতাশা, মুড সুইং, উদ্বেগের মতো সমস্যায় সকলে ভুক্ত ভোগী। অফিসের কাজের অত্যধিক চাপ, বসের দেওয়া টার্গেট, লোনের বোঝা কিংবা বাচ্চার পড়ার খরচ, সঙ্গে পারিবারিক অশান্তি- নানা কারণ অনেকেই মানসিক চাপ বা স্ট্রেস দেখা দেয়। আর এই মানসিক চাপ ডেকে আনছে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগের একাধিক রোগ। এবার থেকে মানসিক চাপ অনুভব করলে ভুলেও খাবেন না এই ১০টি খাবার, বাড়তে পারে সমস্যা। বিশেষ করে ডিপ্রেশনে থাকাকালীন এই খাবার সমস্যা বাড়ায়। এমন হলে মেডিটেশন করুন কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- FB
- TW
- Linkdin
ডিপ্রেশনে থাকবে অনেকে বারে বারে কফি খান। এই ভুল করবেন না। এই সময় ক্যাফেইন যতটা পারবেন কম গ্রহণ করুনষ ৪০০ মিলিগ্রামের কম ক্যাফেইন খেলে আপনার বিষণ্ণতার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই সময় প্রয়োজন ভালো ঘুম। কিন্তু, ক্যাফেইন যুক্ত খাবার বেশি খেলে ঘুমে ব্যঘাত ঘটে।
মন খারাপ হলেই অ্যালকোহন যুক্ত পানীয় পানের আগ্রহ বাড়ে অনেকের। আর এর থেকে আরও বাড়ে ডিপ্রেশন। এই সময় একেবারে বন্ধ করুন মদ্যপান। যদি তা না করতে পারেন তাহলে খুব অল্প পরিমাণে মদ্যপান করুন। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি তো বটেই। বরং, যে কোনও শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বন্ধ করুন মদ্যপান করা।
প্রক্রিয়াজাত খাবার বৃদ্ধি করে ডিপ্রেশন। অনেকে ডিপ্রেশনে থাকলে নানান রকম অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন। এই ধরনের খাবারের প্রতি আশক্তি বাড়ে। কিন্তু, এই ভুলে দেখা দেয় শারীরিক জটিলতা। তাই শারীরিক ও মানসিক উভয় সুস্থতা বজায় রাখতে চাইলে প্রক্রিয়াজাত খাবার যতটা পারবেন কম খান। এতে শরীরে খারাপ প্রভাবে পড়বে।
মেজাজে খারাপ প্রভাব পড়ে ভাজাভুজি থেকে। তেল-মশলা যুক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুড খেলে ডিপ্রেশন বেড়ে যায়। তেমনই এই ধরনের খাবার সহজে হজম হতে পারে না। যে কারণে বাড়ে শারীরিক জটিলতা। সুস্থ থাকতে চাইলে ভাজাভুজি থেকে দূরে থাকুন। বিশেষ করে ডিপ্রেশনে অনুভূত হলে ভুলেও খাবেন না এই ধরনের খাবার।
চিনি ও মিষ্টি গন্ধযুক্ত খাবার বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন বৃদ্ধি করে। এগুলো শরীর ও মন উভয়ের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। মিষ্টি শরবত, কোল্ড ড্রিক্স কিংবা চিনি যুক্ত যে কোনও খাবার যতটা পারবেন কম খান। এমনিতেও চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই সুস্থ থাকতে চিনি না খাওয়াই ভালো।
অস্ট্রেলিয়ার এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অধিক মাত্রায় সোডা খেলে বিষণ্ণতা বৃদ্ধি পায়। এমনকী আত্মহত্যার চিন্তা আসতে পারে মনে। আসলে বিষণ্ণতাপ থেকে ৬০ শতাংশ লোকের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। আর সোডা বৃদ্ধি করে বিষণ্ণতা। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে এই ধরনের খাবার ভুলেও খাবেন না।
হাইড্রোজেনেটেড তেল বা উদ্ভিজ্জ তেল সমানভাবে ক্ষতিকর। এতে থাকা ট্রান্স ফ্যাট আমাদের বিষণ্ণতা সৃষ্টি করে। এমনকী স্মৃতির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ভুলেও খাবেন না হাইড্রোজেনেটেড তেল বা উদ্ভিজ্জ তেল। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটি। তাই এমন খাদ্যগ্রহণ করুন যা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। এই ধরনের খাবার বিষণ্ণতা বৃদ্ধি করে।
যে কোনো কাজ করতে প্রয়োজন এনার্জি। নানা কারণে এই এনার্জির অভাব হয় অনেকের শরীরে। সেক্ষেত্রে এনার্জি ড্রিংক্স খেয়ে থাকেন অনেকে। কিন্তু, জানেন কি এই এনার্জি ড্রিংক্স বিষণ্ণতার কারণ। এনার্জি ড্রিংক্স মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যহানীর কারণ। এতে থাকা একাধিক উপাদান বিষণ্ণতার কারণ হতে পারে। তাই চিকিৎসকের মেনে এনার্জি ড্রিংক্স খান।
ক্রিম, মাখন, পনিরের মতো উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার রোজ খান? এর কারণে হতে পারে বিষণ্ণতা। ক্যাসিন, দুগ্ধজাত দ্রব্য বিষণ্ণতা বৃদ্ধি করে থাকে। তাই সঠিক খাবার খান। দুগ্ধজাতীয় পণ্যে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন থাকে ঠিকই। কিন্তু, এগুলো বেশি খেলে বৃদ্ধি পায় শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বৃদ্ধি পাবে। তাই সঠিক খাবার রাখুন তালিকায়।
এই সময় এড়িয়ে চলুন উচ্চ সোডিয়াম যুক্ত খাবার। এগুলো হার্টের ঝুঁকি বাড়ায়। তেমনই মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। টিনজাত মাংস, সসেজ জাতীয় খাবার খাবেন না। এতে মানসিক জটিলতা বৃদ্ধি পাবে। শারীরিক ও মানসিক সুস্থ বজায় রাখতে সঠিক খাবার খান। এতে দূর হবে বিষণ্ণতা।