ডেইলি ডায়েটে ৩ টে করে কলা, মুক্তি দেবে নানান শারীরিক সমস্যা থেকে
অনেকে বিশ্বাস করেন কলা খাওয়া স্থূলত্ব বাড়ায় তবে এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা মাত্র। কলা খেলে ওজন বাড়ে না, বরং এর উপকারিতাও রয়েছে। আজ আমরা আপনাকে এমনই কিছু সুবিধা বলছি, জেনেও যে আপনিও প্রতিদিন কলা খাওয়া শুরু করবেন। কলা বিভিন্ন গুণাগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এর পুষ্টিগুণ অধিক। একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। এই শর্করা খাদ্য সহজে হজম করতে সাহায্য করে। কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্পাদনে সাহায্য করে। তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে এই ফল-
- FB
- TW
- Linkdin
ইতালির বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজন এবং সন্ধ্যায় পটাসিয়াম অর্থাৎ কলা খাওয়ার ফলে মস্তিস্কে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১৬০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণ স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। এছাড়াও, স্ট্রোকের ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে যায়।
এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণা অনুসারে কাজের চাপ, স্ট্রেস কমাতে প্রতিদিন কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কলাতে থাকা ভিটামিন বি সিক্স (Vitamin B6) রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে, যা মহিলাদের পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
কলাতে উপস্থিত পটাসিয়াম প্রতিদিনের খাবারে থাকা অতিরিক্ত লবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
মনে করা হয় কলা খাওয়া মহিলাদের জন্য বেশি উপকারী কারণ এটি হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস কাটাতে সাহায্য করে কলা, এছাড়া কলা খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে আয়রন, যা মানব দেহের রক্তশূন্যতা নিয়ন্ত্রণ করে।
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন ডায়েটে রাখুন কলা, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
এমনকী হ্যাংওভার কাটিয়ে উঠতেও কলা এবং মধু একসঙ্গে খেলে দ্রুত কাজ দেয়।