ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে তুলসী পাতার গুণে, জেনে নিন কীভাবে খাবেন তুলসী পাতা
বয়স ৩০ এর কোটায় পা দিলেই দেখা দিচ্ছে একের পর এক রোগ। প্রেসার, কোলেস্টেরল, থাইরয়েড তো আছেই এর সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিসের সমস্যা। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধা মানে তা ধীরে ধীরে সব অঙ্গে প্রত্যঙ্গের ওপর প্রভাব ফেলে। এই রোগের প্রধান কারণ হল দুশ্চিন্তা। কাজের চাপেই হোক কিংবা পরিবারের চাপে, দুশ্চিন্তায় কিংবা মানসিক চাপ দেখা দেয়। এর থেকে সবার আগে দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিসের মতো রোগা। তাই সময় থাকতে সচেতন হন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওষুধ তো খাবেনই তার সঙ্গে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেতে পারেন তুলসী পাতা।
| Published : Jun 26 2022, 01:49 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
তুলসী পাতায় রয়েছে হাজারও রোগ থেকে মুক্তির উপায়। এত থাকা প্যানিক্রিয়াস বেটা সেলের কর্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ইনসুনিল ক্ষরণকেও প্রভাবিত করে তুলসি পাতা। রক্তের শর্করা অর্থাৎ গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে এটি বেশ উপকারী। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না তা ঠিক করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
রোগের প্রথম দিকে সকলে নিয়ম মেনে চললেও, পরে সব নিয়ম ভুলতে বসে। এবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান তুলসী পাতা। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি একটি গবেষণা হয়। সেখানে ৬০ জন ডায়াবেটিস রোগীকে নিয়মিত ওষুধ খেতে বলা হয়। আর ৩০ জনকে তুলসী খেতে নির্দেষ দেওয়া হয়। ৯০ দিনের এই পরীক্ষায় জানা যায় যারা তুলসী খাচ্ছেন তাদের ডায়াবেটিসও ছিল নিয়ন্ত্রণে।
এখন প্রশ্ন হল কীভাবে খাবেন তুলসী। তুলসী গাছ বহু বাড়িতেই আছে। আর এই তুলসী পাতা পাওয়া তেমন কঠিন নয়। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে চাইলে তুলসী পাতার চা বানিয়ে খেতে পারেন। এই ভেষজ চা শরীরের জন্য উপকারী। এতে যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস তেমনই মুক্তি পাবেন সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকে।
রাতে তুলসী পাতা জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জল পান করুন। এতেও সমান উপকার। সারা রাত জলে ভেজানোর জন্য তুলসী পাতার পুষ্টি গুণে জলে মিশে যায়। এই জল পানে উপকার পাবেন। তাইলে এই পাতা চিবিয়েও খেতে পারেন। তুলসী পাতায় থাকা একাধিক পুষ্টিগুণ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
যে কোনও রান্নায় তুলসী পাতা দিন। এতে এই পাতার পুষ্টিগুণ শরীরে প্রবেশ করবে। ফলে সুস্থ থাকবেন। তেমনই ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। ডায়াবেটিস ছাড়াও লিভারের জন্য বেশ উপকারী এই পাতা। যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তারা তুলসী পাতা গরম জলে ফুটিয়ে নিন। তাতে দিন মধু। মিশ্রণটি পানে লিভারে ভালো থাকবে। তবে, ডায়াবেটিসের রোগীরা মধু খাবেন না।
তুলসী পাতা, নিমপাতা ও বেলপাতার নির্যাস খান। রোজ খালি পেতে এই শরবত খান। মিক্সিতে এই তিনটি পাতা নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর তা ছেঁকে নিন। এবার মিশ্রণটি খালিপেটে খেতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিন এই শরবত খেতে পারেন। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
এখন ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগী। আর এই রোগের প্রধান কারণ হল দুশ্চিন্তা। কাজের চাপেই হোক কিংবা পরিবারের চাপে, দুশ্চিন্তায় কিংবা মানসিক চাপ দেখা দেয়। এর থেকে সবার আগে দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিসের মতো রোগা। এর থেকে মুকি পেতে তুলসী পাতা খান। রোজ ২টো করে তুলসী পাতা খান। এই পাতার গুণে স্ট্রেস হরমোনের কর্যকারীতা সঠিক থাকে। ফলে স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে জল পান করুন। রাতে তামার পাত্রে এক গ্লাস জল রেখে দিন। সকালে সেই জল পান করুন। এতে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে। রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস করে জল পান করুন। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। অনেকে ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভোগেন। এর থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
ডায়াবেটিস ধরা পড়লে সবার আগে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন চিনি। চিনিকে হোয়াইট পয়জেন বলা হয়। এটি ধীরে ধীরে শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই ভুলেও চিনি খাবেন না। প্রয়োজনে চিনি ছাড়া চা খান। এতে প্রথমে সমস্যা হলেও পরে অভ্যেস হয়ে যাবে। সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই টোটকা।
বন্ধ করুন মদ্যপান ও ধূমপান। এই দুই অভ্যাস ডেকে আনে একাধিক রোগ। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে এই সবার আগে বন্ধ করুন মদ্যপান ও ধূমপান। শুধু ডায়াবেটিস নয়, সঙ্গে ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগের কারণ হতে পারে মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যেস। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিজের এই অভ্যেস বদল করুন।