মাঝরাতে গলা শুকিয়ে তেষ্টায় ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে, কেন এমনটা হচ্ছে জেনে নিন কারণ
এই সমস্যা অনেকেরই হয়। আপনিও যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে এখানে উল্লেখ করা কিছু বিষয়ের প্রতি আপনাকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। কারণ এই ক্রিয়াকলাপগুলি আপনার অনিয়মিত ঘুম এবং রাতে জেগে থাকা এবং তৃষ্ণা নিবারণের জন্য অনেকাংশে দায়ী...
| Published : May 04 2022, 04:30 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
আপনি রাতে গভীর ঘুমে থাকেন কিন্তু হঠাৎ করেই তীব্র তৃষ্ণার কারণে গলা শুকিয়ে যায় এবং চোখ খুলে যায়। এটা যে কোনও ঋতুতেই হয়। কিন্তু গরমের মৌসুমে এমনটা বেশি হয়। রাতে যখন চোখ খোলে, তখন আপনি ঘামে একেবারে ভিজে থাকেন এবং গলা শুকিয়ে থাকে। এই সমস্যা অনেকেরই হয়। আপনিও যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে এখানে উল্লেখ করা কিছু বিষয়ের প্রতি আপনাকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। কারণ এই ক্রিয়াকলাপগুলি আপনার অনিয়মিত ঘুম এবং রাতে জেগে থাকা এবং তৃষ্ণা নিবারণের জন্য অনেকাংশে দায়ী...
রাতে জেগে থাকা
গভীর ঘুম থেকে জেগে উঠলে, রাতে চোখ খুললে খুব বিরক্ত লাগে। কিন্তু ঘপমের মধ্যেই যখন ঘাম এবং খুব তৃষ্ণার্ত বোধ করেন, তখন জল পান করার সঙ্গে সঙ্গেই আবারও গভীর ঘুম হওয়া সহজ নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন কেন আপনার প্রায়ই এমন সমস্যা হয়?
আসলে, এটি ঘটে কারণ এই পরিস্থিতিতে আপনার শরীর আপনাকে বলছে যে আপনি দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করেননি। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করা উচিত কিনা সেদিকে আপনার নজর দেওয়া উচিত।
শরীরে বেশি ক্যাফেইন থাকা
আপনি যদি দিনের বেলা পর্যাপ্ত পরিমান জল পান করেন, এর সঙ্গে সমান তালে চা এবং কফি খান, বা যদি আপনি সোডা এবং চিনি দিয়ে তৈরি সিরাপ বেশি পান করেন, তবে আপনার শরীর জল পানের তেমন সুবিধাই নিতে পারবে না। কারণ চিনি, সোডা এবং ক্যাফেইন আপনার শরীরে জলর পরিমাণ কমাতে কাজ করে। কারণ এগুলো খেলে বারবার প্রস্রাব হয়। আপনি যখন ঘন ঘন প্রস্রাব করেন, তখন আপনার শরীরও আর্দ্রতা হারায়।
লবণ এবং মশলা দেওয়া খাবার
যদি প্রতিদিনের জীবনে লবন-মশলা দেওয়া খাবার বেশি খান, তাহলেও রাতে একই রকম শুকনো গলা নিয়ে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। কারণ লবণ ও মশলা দুটোই শরীরে জলর পরিমাণ কমাতে কাজ করে। ফলে রাতের শেষের দিকে শরীরে হাইড্রেশনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং গভীর ঘুমের মধ্যে অতিরিক্ত তৃষ্ণার কারণে ঘুম ভেঙে যায়।
সমস্যা সমাধান
এই সমস্যার সমাধান এর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে। দিনে এক বা দুই কাপের বেশি চা ও কফি পান করবেন না। সোডা, ঠান্ডা পানীয় এবং শরবত ইত্যাদি শুধুমাত্র পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। তাদের জায়গায় শীতলতা পেতে, লস্যি, বাটারমিল্ক, লেবুজল এবং নারকেল জল নিন। মশলা সমৃদ্ধ খাবার এবং তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে গ্রীষ্মের সময়।
উচ্চ লবণযুক্ত স্ন্যাকস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এগুলো শুধু শরীরে জলর ঘাটতিই করে না উচ্চ রক্তচাপ রোগও সৃষ্টি করে। গরমে পানীয় নিতে হলে ঘরে তৈরি সাধারণ পাতিলেবুর সরবত, বা পুদিনাার সরবত, ফলের রস ইত্যাদি পান করুন। সেই সঙ্গে ২-৩ লিটার জল পান করুন। তবেই সুস্থ থাকবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।