আঙ্গুর না কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত
- FB
- TW
- Linkdin
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি সুস্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে এবং দেহের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। আঙ্গুর এবং কিসমিসের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। দুজনের মধ্যে কোনটি বেশি পুষ্টিকর তা সিদ্ধান্ত নেওয়া শক্ত।
এই গুণমানটি খাবারের উদ্দেশ্যটির উপর নির্ভর করে। আঙ্গুর-কিসমিসের পুষ্টির সঙ্গে তুলনা করার মাধ্যমে, সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে যে স্বাস্থ্যকর এবং মানবদেহের জন্য কে বেশি উপযুক্ত।
১০০ গ্রাম কিসমিসে প্রায় ১৫.৪৩ শতাংশ জল, ২৯৯ গ্রাম ক্যালোরি, ৩.০৭ গ্রাম প্রোটিন, ৭৯.১৮ গ্রাম শর্করা, ০.৪৬ গ্রাম ফ্যাট, ৩.৭০ গ্রাম ফাইবার, ৫০ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৮৮ গ্রাম আয়রন, ৩২ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে ২.৩০ গ্রাম।
পাশাপাশি ১০০ গ্রাম আঙ্গুরের মধ্যে রয়েছে ৮০.৫৪ শতাংশ জল, ৬৯ গ্রাম ক্যালোরি, ০.৭২ গ্রাম প্রোটিন, ১৮.১০ গ্রাম শর্করা, ০.১৬ গ্রাম ফ্যাট, ০.৯০ গ্রাম ফাইবার, ১০ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৩৬ গ্রাম আয়রন, ০৭ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে ৩.২০ গ্রাম, ভিটামিন এ রয়েছে ০৩ গ্রাম।
আঙ্গুরে উপস্থিত পুষ্টিগুণ চোখের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্তরাও স্বল্প পরিমানে আঙ্গুর ডায়েটে রাখতে পারেন। তাছাড়া প্রতি কেজি আঙ্গুর থেকে প্রায় ৪৫০ ক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়৷
পাশাপাশি কিসমিস ফাইবারের একটি ভাল উৎস এবং হজম ও অন্ত্রের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। কিসমিসে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
এতে থাকা পটাশিয়াম হার্টকে ভাল রাখে এবং খারাপ কোলেস্টরল দূর করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে আয়রন যা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে কার্বোহাইট্রেট, যা এনার্জি জোগায়।