আবহাওয়ার পরিবর্তনে বাড়ছে অ্যাস্থমার সমস্যা, মুক্তি পেতে মেনে চলুন ঘরোয়া উপায়
গরমে হাসফাঁস অবস্থা সকলের। এরই সঙ্গে বাতাসে বাড়ছে ধুলো, ময়লা। এই সবের জন্য বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা। বর্তমানে একাধিক রোগে আক্রান্ত ছোট থেকে বড় সকলে। এর মধ্যে একটি হল হাঁপানি। হাঁপানি বা অ্যাস্থমা একটি দীর্ঘকালীন অসুখ। যাতে কাশি, শ্বাস নেওয়ার সমস্যা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হন বহু বাচ্চা। সমস্যা দেখা দেয় বড়দের মধ্যেও। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন এই ১০ টোটকা। ঘরোয়া টোটকায় মুক্তি পেতে পারেন অ্যাস্থমার সমস্যা থেকে।
- FB
- TW
- Linkdin
সবার আগে পরিবর্তন করুন খাদ্যতালিকায়। সঠিক ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস মুক্তি দিতে পারে অ্যাস্থমার সমস্যা থেকে। খাদ্যতালিকায় রাখুন ওমেগা থ্রি যুক্ত খবার। খান ভিটামিন সি, ভিটামিন ই। সবজি ও ফলে থাকে উপাদান। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন এই টোটকা। এতে যেমন অ্যাস্থমা কমবে, তেমনই শরীর সুস্থ থাকবে।
হাঁপানির সমস্যা দূর হবে মধুর গুণে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ চামচ মধু খান। মধুর সঙ্গে সামান্য দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেলে শ্বাসকষ্ট অনেকটা কমে যাবে। মুক্তি পাবেন সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে। রোদ রাতে দারচিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন।
আদাও বেশ উপকারী হাঁপানির জন্য। জলের মধ্যে এক টিকরো আদা খেতে পারেন। একটি পাত্রে জল গরম হতে দিন। তাতে দিনে এক টুকরো আদা। ফুটতে শুরু করলে নামিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা হতে দিন। ছেঁকে নিয়ে পান করুন এই জল। এতে দূর হবে হাঁপানির সমস্যা।
রসুনও বেশ উপকারী হাঁপানির সমস্যা দূর করতে। এক কাপ দুধের মধ্যে ৪ কোয়া রসুন ফেলুন। এবার এই দুধ ফুটতে দিন। ফুটতে শুরু করলে নামিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা হতে দিন। ছেঁকে নিয়ে পান করুন এই দুধ। এতে দূর হবে হাঁপানির সমস্যা। নিয়মিত খেতে পারেন এই দুধ।
সরষের তেল এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। সরষের তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে নিন। একটি পাত্রে সরষের তেল নিয়ে তাতে মেশান কর্পূর। কর্পূর মেশানোর সময় তেল গরম করুন। এবার এই তেল দিয়ে বুকে মালিশ করতে পারেন। এতে দূর হবে হাঁপানির সমস্যা।
হাঁপানির সমস্যা দূর করতে ভেপার নিতে পারেন। এই টোটকা বেশ উপকারী। একটি পাত্রে গরম জল নিন। এতে মেশান কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অয়েল। এই তেল হাঁপানির সমস্যা দূর করে। এই জলে ভেপার নিন। এতে উপকার পাবেন।
বেদানার রস বেশ উপকারী হাঁপানির রোগীদের জন্য। গরমে ফলের বাজার ভরে গিয়েছে একাধিক সুস্বাদু ও উপকারী ফলে। এই সকল ফলের গুণে দূর হয় সকল সমস্যা। এবার বেদানার রসের সঙ্গে একটু মধু ও আদার রস মেশান। এই মিশ্রণ দিনে ২ থেকে ৩ বার খেতে পারেন। এতে দূর হবে হাঁপানির সমস্যা। বেদানা, মধু আর আদার রসের গুণে মুহূর্তে দূর হবে এই সমস্যা।
ব্ল্যাক টি-ও বেশ উপকারী হাঁপানির রোগীদের জন্য। হাঁপানির সমস্যা দূর করে ওষুধ না খেলে হল না। তার আগে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা। রোজ খেতে পারেন ১ কাপ করে ব্ল্যাক টি। এই ব্ল্যাক টি মুহূর্তে দূর করবে হাঁপানির সমস্যা।
শুধু শীত আর বর্ষা নয়, সারা বছরই হাঁপানির সমস্যা লেগে থাকে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে এই সমস্যা বেশি বাড়ে। এই রোগ বেশিরভাগই হয় বংশগত কারণে। তাছাড়া, মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। হাঁপানি সমস্যা দেখা দিতে তার থেকে কাশি, শ্বাস নেওয়ার সমস্যা হয়। তাই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন এই সকল ঘরোয়া টোটকা।
অনবরত কাশি। বিশেষ করে রাত ও ভোরের দিকে বেশি কাশি হলে উপেক্ষা করবেন না। হাঁপানির রোগীদের এমন সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী, বুকে চাপ, নিঃশ্বাসে ঘরঘর শব্দ হলে সতর্ক হন। ডাক্তারি পরামর্শ তো নেবেনই, সঙ্গে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা। ঘরোয়া উপকরণে এমন কিছু গুণ আছে, যা এই রোগের ওষুধের কাজ করে।