শরীরে আয়রনের অভাব, বাচ্চার মনঃসংযোগ বাড়াতে চোখ রাখুন ম্যাজিক ডায়েটে
- FB
- TW
- Linkdin
বেশিরভাগ অফিসেই যেমন ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে, ঠিক তেমনই বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এই পদ্ধতি চালু হয়ে গেছে। কিন্তু একটানা পড়াশোনা তাও আবার অনলাইনে, এই করতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন খুদেরা।
মনঃসংযোগ বাড়াতে গেলে সবার আগে খাওয়া-দাওয়ার ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে।
ফল যেন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে। বিশেষত, মরশুমি ফল অবশ্যই রাখবেন বাচ্চার খাদ্যতালিকায়। অনেক বাচ্চারাই গোটা ফল খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে ফল খাওয়াবেন না এটা কিন্তু ঠিক নয়, ব্যানানা, ম্যাঙ্গো, ওয়াটারমেলন যে ফলই ঘরে থাকবে তা দিয়েই শেক বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠানোর অভ্যেস করন। স্কুল নেই বলে বেলা অবধি ঘুমোবে এটা কিন্তু ভাল অভ্যাস নয়।
প্রতিদিনের সকালে ব্রেকফাস্টের খানিকক্ষণ বাদে একটা ফল দিন। খেতে না চাইলে ওই শেক দিয়ে দিন।
দুপুরের খাবার ১২.৩০ থেকে ১ টার মধ্যে খাইয়ে দিন। ভাত, ডাল, সব্জি, মাছ বা চিকেন যাই থাকুন না কেন সঙ্গে একটু স্যালাড দিন।
প্রতিদিনের ডায়েটে দই বা দুধ মাস্ট। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে দই দিতে পারেন। চাইলে তার মধ্যে কিছু ড্রাই ফ্রুটসও মিশিয়ে দিতে পারেন।
মনঃসংযোগ বাড়াতে ডায়েটে আয়রন থাকা ভীষণ জরুরি। শরীরে যখনই আয়রনের অভাব দেখা যায় তখনই মনঃসংযোগ ঘটে।
রাতের খাবার ৯ টার মধ্যে সেরে নেওয়ার চেষ্টা করুন। রুটি-পরোটা যাই খাওয়াবেন না কেন সময়ের মধ্যে করাটাই ভাল। চাইলে আপনারাও ওর সঙ্গে খেয়ে নেবেন। তাহলে ওর আগে একা মনে হবে না।
রাতে ঘুমানোর আগে একগ্লাস দুধ অবশ্যই খাওয়াবেন। সম্ভব হলে একটু কেশর মিশিয়ে নিন। নাহলে এক চিমটি হলুদ গুড়োও মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
যতটা পারবেন ফাঁকা সময়ে মোবইল থেকে দূরে রাখুন। অযথা মোবাইলে গেম খেলা থেকে সন্তানকে বিরত রাখুন।আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ঘুমের সময় মোবাইলটা সবার আগে দূরে রাখুন।