অস্টিওপোরোসিস এর সমস্যায় চিকিৎসার পাশাপাশি পাতে রাখুন এই খাবারগুলি
- FB
- TW
- Linkdin
অস্টিওপোরোসিসের মত সমস্যা দেখা দিলে দরকার ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া। খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যা হাড়ের জন্য পুষ্টিকর ক্যালশিয়াম আর ফসফরাস থাকে।
মেরুদণ্ড আর দেহের বিভিন্ন হাড়কে শক্ত রাখে, এরকম খাবার বেছে নিতে হবে। সাধারণত, ক্যাসশিয়াম আর ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবারেই হাড়ের পুষ্টি হয়। দুধ হল ক্যালশিয়ামের অন্যতম সেরা উৎস। তাছাড়া সুষম খাদ্যতো বটেই। তাই নিয়ম করে রোজ দুধ খান।
তবে দুধে অনেকের সমস্যা হয়। বিশেষ করে যারা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট হন, দুধ তাঁদের সহ্য হয় না। খেলে হজমের অসুবিধে হয়, গ্যাস, অম্বল হয়। সেক্ষেত্রে বাড়িতে পাতা দই বা দুধের দোকান থেকে কিনে আনা টকদই খেতে পারেন।
দইতেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। সেই সঙ্গে থাকে প্রোবায়োটিক বলে একধরনের উপকারী জীবাণু। যা হজমে সাহায্য করে। পেটের অসুখে যা বলতে গেলে মহৌষধি। আর হ্যাঁ, ছানা যদি সহ্য হয় খেতে পারেন। তাতেও উপকার পাবেন।
দুধের পর আসি শাক-সবজির কথায়। জানেন তো, কিছু কিছু শাকে কিন্তু খুব ভাল পরিমাণে ক্যাসশিয়াম থাকে? সেইসঙ্গে থাকে হাড়ের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় ফসফরাসও। সবজিতেও এগুলো থাকে।
একই সঙ্গে পাতে রাখুন কাতলা, ভেটকি, পুঁটি, মৃগেলের মতো বেশ কিছু মাছে প্রচুর পরিমাণে থাকে ক্যাসশিয়াম আর ফসফরাস। যেমন ধরুন, প্রতি ১০০ গ্রাম কাতলা মাছে ৫১০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে, ২১০ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে। বাটা মাছে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ আরও বেশি, প্রতি ১০০ গ্রামে ৭৯০ মিলিগ্রাম।
চেষ্টা করবেন কাতলা, বাটা, ল্যাটা, শিঙি, ভেটকি, মৃগেল, পুঁটি, ট্যাংরা, কই, বেলে-র মতো মাছগুলো মাঝেমধ্যে, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেতে।
এছাড়া এই সমস্যায় পালং শাকের কোনও তুলনা হয় না। ১০০ গ্রাম পালং শাকে ৫৯৫ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে আর ৯৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে। নামে কম হলেও কাজে কিছু কম যায় না সজনে ডাটা।
১০০ গ্রাম সজনে ডাটায় থাকে ৪৪৫ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম আর ৭০ মিলিগ্রাম ফসফরাস। পুঁইশাক বা কুমরো শাকও খেতে পারেন মাঝেমধ্যে। আর হ্যাঁ, সবার শেষে কিন্তু রয়ে যায় সেই নটেশাক। যা এই মারাত্মক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।