ডায়েটিং-এর সময় আর খাবার তৈরি নয়, মেনে চলুন Raw Food Diet, ওজন কমবে কাঁচা খাবারে
ডায়েটিং করতে গেলে হাজারটা ফ্যাচাং। কোনও খাবার কম তেলে রাঁধতে হবে, কোনও খাবারে দেওয়া যাবে না নুন। আবার পানীয় বানাতে হবে চিনি ছাড়া। ডায়েট করে ওজন কমাতে কে না চায়। কিন্তু, সেই ডায়েটিং করতে গেলে কী কী করতে হবে সেই ভেবে অর্ধেকে পিছিয়ে আসে। সারাদিন অফিসের ঝক্কি সামলে কি আর নিজের জন্য এত কিছু করা সম্ভব? আবার না করলেও নয়। সেক্ষেত্রে বাড়তি ওজন সব সৌন্দর্যের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এবার মুক্তি পেতে পারেন এই সমস্যা থেকে।
- FB
- TW
- Linkdin
বর্তমানে ডায়েটিং-এর দুনিয়ায় এসেছে তারতম্য। এখন ডায়েট করতে গেলে আপনার অপছন্দের সব খাবার খেতে হবে কিংবা প্রচুর খাটুনি এমন নয়। চাইলে ডায়েটের কটা দিন শুধু আপনার পছন্দের খাবার খেয়ে থাকতে পারেন। অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটাই সত্যি। এখন এক নয় একাধিক ডায়েট প্ল্যান রয়েছে। আর মাত্র ৫ কিংবা ৭ দিনের এই সকল ডায়েট প্ল্যান নিয়ে আপনি ঝটপট ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন।
ধরুন আপনার আপেল খেতে ভালো লাগে। সেক্ষেত্রে ৫ দিন শুধু আপেলই খেয়ে থাকুন। সকলা দুপুর ও রাত তিন বেলাই খান আপেল। এতে মাত্র ৫ দিনে কমে যাবে ৩ থেকে ৪ কেজি। বর্তমান বাজারে এই আপেল ডায়েট প্ল্যানের চল বেড়েছে বিস্তর। আর ফল খেলে ভালো না লাগলে রয়েছে র ফুড ডায়েট।
বর্তমানে র ডায়েট প্ল্যান-এর চল বেড়েছে। কাঁচা খাবার খেয়ে কমাতে পারেন ওজন। যারা রান্না করতে তেমন পছন্দ করেন না। কিংবা যাদের রান্না করার সময় হয়ে ওঠে না তারা এমন কাঁচা খাবার খেয়ে ঝটপট ওজন কমাতে পারেন। গরমে এই সকল কাঁচা খাবার নষ্টও হবে না। আর খেতেও সমস্যা নেই।
এখন প্রশ্ন হল র ফুড ডায়েট-এ কী কী খাবেন। সব ধরনের তাজা ফল, সব ধরনের কাঁচা সবজি, বাদাম ও বীজ খেতে পারেন এই ডায়েটে। আপেল, কলা, মৌসম্বি থেকে শসা। রোজ একাধিক ফল রাখুন তালিকায়। এই সকল ফলে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। যা শরীরকে সুসস্থ রাখে।
সবজির মধ্যে টমেটো, পাকা পেঁপে, গাজর-র মতো কিছু সবজি আছে যা কাঁচা খাওয়া যায়। ফলে রোজ খান ফ্রুট স্যালাড। এতে রান্না করারও ঝক্কি রইল না আবার ওজনও কমবে। এই সকল খাবারে থাকা একাধিক পুষ্টিগুণ শরীর সুস্থ রাখে। সঙ্গে সকল ঘাটতি পূরণ করে।
সবজি ও ফলে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম থাকে। যা শরীরে ওজন বৃদ্ধি করে না। সঙ্গে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। খাবার সঠিক ভাবে হজম হলে বাড়তি ওজন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর এই সকল খাবারে থাকা পুষ্টিগুণ এনার্জি বৃদ্ধি করে থাকে। ডায়েটের সময় খাবার পরিমাণ কম খেতে হয়। তাতে অনেকেই দুর্বল অনুভব করেন। কিন্তু, এই সময় এমন খাবার খেলে এই সমস্যা আর বুঝতে পারবেন না।
র ফুড ডায়েট-এ রোজ একবাটি করে দই খাবেন। দই-এ থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনই এর গুণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সঙ্গে দই খেলে অনেকটা সময় পেট ভরা থাকে। দই খেতে ঝামেলাও নেই, দোকান থেকে কিনে আনলেই হল।
র ফুড ডায়েট-এ বাদাম, আমন্ড-র মতো ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া যেতে পারে। বেলার দিকে ১ মুঠো বাদাম খেয়ে নিন। আর রাতে ৪ থেকে ৫ টি আমন্ড জল ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এই র ফুড ডায়েটে নিয়ম করে দুধ খান। রোজ ১ গ্লাস দুধে ক্যালসিয়ামের ঘাটটি পূরণ হবে।
এই র ফুড ডায়েট প্ল্যান নেওয়ার আগে তার প্রসঙ্গে বিস্তারিত জেনে নেবেন। এই সময় খাবারের পরিমাণ সঠিক করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এতেও যদিও দেখা দেয় অন্য এক সমস্যা। কম খাবার খেলে বারে বারে খিদে পায় অনেকের। খিদে পেলে জল খেয়ে নিন। দেখবেন খিদের তারনা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। জল খেলে পেট ভরে যায়। তাছাড়া, ডায়েটে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর সঙ্গে রোজ এক্সারসাইজ করুন। অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে সঙ্গে ওজনও কমবে। দু হাত ছেড়ে জোড়ে জোড়ে হাঁটুন। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আর স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এড়িয়ে চলুন দোকানের খাবার। এই সময় নুন ও চিনি একেবারেই খাবেন না। আর র ফুড ডায়েটে যে ধরনের খাবার খাওয়ার উল্লেখ আছে সেগুলো শরীরে সকল ঘাটতি পূরণ করবে।