ওজন কমাতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ১০টি জুস, জেনে নিন কী কী খাবেন
বাড়তি মেদ সব সময় চেহারা সৌন্দর্যের পথ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আর সেই কারণেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে মরিয়া সকলে। সারা বছর খাবার খাওয়া চলে হিসেব কষে। সঙ্গে চলে কঠিন এক্সারসাইজ। এই সব করলেই যে এক ঝটকায় অনেকটা ওজন কমে তা নয়। এবার ওজন কমাতে জুস খান। আজ রইল ১০টি জুসের হদিশ। যা ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন থেকে একাধিক ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এই সকল জুসে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। নিয়মিত এই কয়টি জুস খেলে ওজন কমবে, সঙ্গে শরীর সুস্থ থাকবে। জেনে নিন ওজন কমাতে কোন কোন জুস খাবেন।
| Published : May 06 2022, 11:28 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
করলার জুস- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও শরীর সুস্থ রাখতে বেশ উপকারী করলার জুস। ১০০ গ্রাম করোলার জুস খেলে ১৭ ক্যালোরি পর্যন্ত কমতে পারে। প্রতিদিন খালি পেটে করলার জুস খান। এতে ত্বকও ভালো থাকবে। গরমে অনেকেরই ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এই জুসের গুণে। খালি পেটে করোলার জুস খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাবেন।
শসার জুস- প্রচুর ফাইবার থাকে। পেট ভর্তি থাকে। গরমে শসার জুস খাওয়া খুবই প্রয়োজন। শসায় থাকা একাধিক উপকারী উপাদান শরীরের সকল ঘাটত পূরণ করে। দিনে একাধিকবার খেতে পারেন শসার জুস। শসায় প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। যা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। ব্রেক ফার্স্টে খেতে পারেন শসার রস।
আমলার জুস- শরীর সুস্থ রাখতে ও ওজন কমাতে বেশ উপকারী আমলার জুস। এতে একদিকে যেমন ওজন কমবে, তেমনই চুল ও ত্বক ভালো থাকবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ক্যারোটিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। আমলাতে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। সঙ্গে ওজন কমায়।
তরমুজের জুস- গরমে খেতে পারেন তরমুজের জুস। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে এতে যা শরীরকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও এতে থাকে ফাইবার। যা হদম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এতে ৯২ শতাংশ জলীয় উপাদান থাকে। যা শরীরকে হাইড্রেট করে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে ও ওজন কমাতে বেশ উপকারী তরমুজের জুস।
বেদানার জুস- শরীরের বাড়তি ওজন ঝড়িয়ে ফেলতে চাইলে বেদানার জুস খেতে পারেন। ভিটামিন কে, সি ও ভিটামিন বি থাকে এতে। রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল আছে বেদানাতে। ওজন কমাতে চাইলে রোজ বেদানার জুস খান। এটি শরীরে পুষ্টি জোগানোর সঙ্গে ডিটক্সের কাজ করে।
গাজরের জুস- ওজন কমাতে খেতে পারেন গাজর জুস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম, আয়রনের মতো উপাদান। শরীর সুস্থ রাখতে ও ওঝন কমাতে বেশ উপকারী এই উপাদানগুলো। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। সঙ্গে কম থাকে চিনি। সে কারণে ডায়েটের সময় গাজরের জুস খাওয়া উপকারী।
টমেটো জুস- ডায়েটিং এর সময় টমেটোর জুস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এতে থাকা মিনারেল রক্তচাপ ঠিক রাখে। এর গুণে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকে। তেমনই দাঁত ও হাড়ের জন্য বেশ উপকারী হল টমেটো। টমেটোর জুস খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা লাগে। এটি শরীরের ডিটক্সের কাজ করে থাকে। তাছাড়া, ওজন কমাতে খেতে পারেন আদা ও বিটের জুস। বিটে কেটে টুকরো করে নিন। ব্লেন্ডারে এটি দিন। তার সঙ্গে দিন ১ টুকরো আদা দিন। জল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। এই জুস পানে ওজন কমবে। আদা ও বিটে এমন কিছু জরুরি উপাদান আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
পার্সলে পাতার তৈরি জুস- ওজন কমাতে পার্সলে পাতার তৈরি জুস খেতে পারেন। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস করে পার্সলে পাতার জুস খান। এই পাতা মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করার সময় জল, শসা, আটার টুকরো দেবেন। হয়ে গেলে তা ছেঁকে তার সঙ্গে মেশান পাতিলেবুর রস। মিশ্রণটি পান করুন উপকার পাবেন।
পালং শাক ও আপেলের জুস- ওজন কমাতে পালং শাক ও আপেলের জুস খেতে পারেন। মিশ্রণটি ওজন কমাতে খুব উপকারী। পালং শাক ও আপেল এক সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এই সময় পুদিনা পাতাও দিতে পারেন। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। এই জুস শরীরে জন্য বেশ উপকারী। প্রতিদিন পালং শাক ও আপেলের জুস খেলে সহজে ওজন কমবে।
আনারসের জুস- ওজন কমাতে খেতে পারেন আনারসের জুস। আনারসে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। যা শরীরের সকল ঘাটকি পূরণ করে। সঙ্গে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আনারসে থাকা একাধিক উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে চাইলে রোজ খেতে পারেন আনারসের জুস। শরীর সুস্থ থাকবে।