এই বিশেষ উপায় বন্ধ করা সম্ভব মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণ, জেনে নিন কী করবেন আর কী নয়
- FB
- TW
- Linkdin
এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ত্বকে সংক্রমণ দেখা যায়। এর আগে ব্যক্তির জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো সমস্যা হয়। তাই কোনও অসুস্থ ব্যক্তির দেখলে তার থেকে দূরে থাকুন। এধরনের রোগীকে স্পর্শ করবেন না। এতে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
কোনও ব্যক্তির জ্বর, মাথা ব্যথা, পেশীর ব্যথা, ক্লান্তি ভাব দেখা দিলেই সতর্ক হন। জ্বর, ফুসকুড়ি, ফোসকা হলে কারও কাছে আসবেন না। এতে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। ত্বকের এমন ফোসকা বের হলে তা ঢেকে রাখুন। হালকা ও পরিষ্কার গজ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। এতে সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন।
সব সময় পরিষ্কার থাকুন। বাড়ি ফিরে স্নান করে নিন। সব সময় স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সকলেই মেনে চলত এই সকল বিধিনিষেধ। মাঙ্কি পক্সের থেকে মুক্তি পেতেও এই একই পদ্ধতি অবলম্বন করুন। জীবাণু মুক্ত থাকলে যে কোনও ভাইরাস আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
শারীরিক মিলনের সময় এই ভাইরাস একজনের শরীর থেকে অপরের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই এধরনের রোগী থেকে তো দূরে থাকবেনই। তাছাড়া, যৌন মিলনের সময় কনডম, ডেন্টাল ড্যাম ব্যবহার করুন। তাতে কারও শরীরে যে কোনও ভাইরাস থাকলে তা অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই সব সময় সুস্থ ও নিরাপদ যৌন জীবন বজায় রাখুন।
সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে সব সময় সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলুন। সব সময় পরিচিত ও অপরিচিত সকলের থেকে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলুন। এতে রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। এই রোগ আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস নয়, যে কোনও ভাইরাস থেকেই আপনি মুক্তি পেতে পারেন।
শুষ্কতা ও চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পরে। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির যত্ন নিতে কোলয়েডাল ওটমিল ব্যবহার করতে পারেন। কোলয়েডাল ওটমিল দিয়ে সংক্রামিত শরীরের অঙ্গগুলোকে ভিজিয়ে রাখলে সে আরাম পাবে। চুলকানি ও শুষ্কতার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। তবে, এই পদ্ধতি অনুসরণ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই রোগে আক্রান্ত হলে ওষুধ তো খাবেনই। সঙ্গে প্রচুর জল খান। এতে সমস্যা সহজে মুক্তি মিলবে। প্রচুর জল খান। আর যতটা পারবেন তরল খাবার খান। সঙ্গে খান প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, খনিজ পরিপূর্ণ খাবার খান। শরীর সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। জ্বর, ফুসকুড়ি, ফোসকা দেখা দিলে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে ত্বকের ক্ষত ও ভোসকা মেডিকেল গজ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে হালকা করে ঢেকে রাখুন। আর মুখে মাস্ক পরে থাকুন। এতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ কম হবে। সব সময় স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করুন। তবেই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
এই ভাইরাস নিয়ে অনেক ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন স্মল পক্সের টিকা কোনও সুরক্ষা প্রদান করে না। যা মোটেও সত্যি নয়। স্মল পক্সের টিকা এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এই টিকা ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করেন থাকে। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে স্মল পক্সের টিকা নিতে পারেন। রোগ থেকে মিলবে মুক্তি।
এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে হাম, স্কার্ভি ও সিফিলিস কিছু উপসর্গের মধ্যে কিছুটা একই রকম। তা সহজে সকলে বুঝতে পারেন না। আর মাঙ্কিপক্স ভাইরাস অর্থোপক্স ভাইরাস মধ্যে পড়ছে। যা ত্বকে গুটিবসন্ত তৈরি করে। সে কারণে মাঙ্কিপক্সের সময় গুটি বসন্তের মতো একই উপসর্গ আছে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হন। এই রোগ দ্রুত প্রসার বৃদ্ধি করে। তাই সামান্য সমস্যা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।