গরুর গাড়ির থেকে স্পোর্টস কার, রাহুল তেওয়াটিয়ার ইনিংসের প্রশংসায় নেটিজেনরা
- FB
- TW
- Linkdin
ম্য়াচে স্টিভ স্মিথ আউট হওয়ার পর মাঠে নেমেছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। সেই সময় ম্য়াচে প্রতি ওভারে ১২ রানের বেশি দরকার ছিল। কিন্তু তেওয়াটিয়া খুব স্লো শুরু করেন নিজের ইনিংস। প্রথম ১৯ বলে মাত্র ৮ রান করেন তিনি। তখন সঞ্জু স্যামসনের উপর চাপ বাড়তে থাকে। ম্য়াচ রাজস্থানের হাত থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তেওয়াটিয়াকেই দায়ী করছিলেন সকলে।
শেষ তিন ওভারে রাজস্থানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫১ রান। সেই সময় তেওয়াটিয়া আক্রমণাত্ব ব্য়াটিং শুরু করেন। শেলডন কটরেলকে ১ ওভারে ৫টি ছয় মারেন তিনি। শেষের ওভার ২ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২১ রান।
নিজের ইনিংসের শেষ ১২ বলে ৪৫ রান করেন তেওয়াটিয়া। তারমধ্যে ৭টি ছয়। ৩১ বলে ৫৩ রান করে আউট হন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে রাজস্থানের জয় নিশ্চিৎ হয়ে গিয়েছে। তেওয়াটিয়ার ইনিংসের প্রশংসা করেছেন সকলে।
তেওয়াটিয়ার ইনিংস দেখে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ বলেন,'তেওয়াটিয়ার মধ্যে মাতা (ভগবান) চলে এসিছিল।' এছাড়াও তিনি বলেন, 'জীবন আর ক্রিকেটের মধ্যে অনেক মিল। দুটোই মিনিটে পাল্টে যায়।'
তেওয়াটিয়ার ইনিংস দেখে ট্যুইট করে আইসিসিও। ট্যুইটে লেখা হয়, শারজাতে ছয়ের বৃষ্টি। রাহুল তেওয়াটিয়া ও জোফ্রা আর্চার রাজস্থানের অবিশ্বাস্য জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন।
সচিন তেন্ডুলকর ম্যাচের মাঝে একাধিক টুইট করেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যান স্মিথ, সঞ্জু, তেওয়াটিয়ার দুর্ধর্ষ ব্যাটিং। মাথা ঠান্ডা রেখে রানের গতি বাড়িয়ে গেল ওরা। অবিশ্বাস্য’। শুধু সচিন-সৌরভ নয়, আইপিএলের ইতিহাসে সেরা ম্যাচ দেখে স্তম্ভিত গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে নানা মিমও। নেটিজেনদের মধ্যে একজন বলেন, আজকের ম্যাচ দেখার পর হরিয়ানা থেকে আগামি নির্বাচনে বিজেপির টিকিট পেতে পারেন তেওয়াটিয়া।
তেওয়াটিয়া শুরু করেছিলেন গরুর গাড়ির মত আর শেষ করলেন স্পোর্টস কারের মত। এছাড়া নানাবাবে নানা মিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তেওয়াটিয়ার প্রশংসায়।