সিগারেটকে বাংলায় কী বলে তা অনেকেই জানে না! জেনে নিন আপনি
- FB
- TW
- Linkdin
তামাকের ধোঁয়ায় ৭ হাজারেরও বেশি রাসায়নিক রয়েছে। যার মধ্যে ২৫০টিরও বেশি ক্ষতিকারক হিসাবে পরিচিত। তামাকের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে তার সংখ্যা ৮০ লক্ষ হয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞাপনে হোক কিংবা সিগারেট বাক্সে থাকা ভয়ংকর ছবি, সব সময় সতর্ক করার চেষ্টা করছে মানুষকে। তবুও, সিগারেটের নেশা অনেকেই ছাড়তে পারছেন না। ধুমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর জেনেও আমরা ধুমপান করি।
প্রতিমাসের বাজেটে বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয় সিগারেট খাওয়ার জন্য। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে আজ চেইন স্মোকার। তামাক হৃৎপিন্ড, ফুসফুস ও লিভারকে আক্রান্ত করে তা সকলেরই জানা। এমনকী, এই নেশা থেকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে, তা জেনেও সিগারেট খাচ্ছে সকলেই।
হাজার সচেতনতা শিবির, বিজ্ঞাপন, ডাক্তারি পরামর্শের পর যে কোনও লাভ হয়নি, তার প্রমাণ মিলেছে বার বার। ক্রেতাদের চাহিদার্থে বাজারে প্রায়শই আসছে নতুন নতুন স্বাদের সিগারেট। এর থেকে দেখা দিচ্ছে একাধিক রোগ।
আবার বাজারে এখন সিগারেটের জায়গা নিচ্ছে ই-সিগারেট। অনেকে বলেন এটা নাকি স্বাস্থ্যের জন্য অতটাও ক্ষতিকর নয়। কিন্তু আসলে কি জানেন তো, নতুন বোতলে পুরনো মদ ঢাললে, সেটা জল হয়ে যায় না। থাকে তা মদই।
সে যাই হোক। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের (America heart Association) গবেষকরা বলছেন, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদের তুলনায় যারা ই-সিগারেট (E-Cigarette) ব্যবহারকারীদের অল্প বয়সে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি ১৫ শতাংশ বেশি থাকে।
তবে ওপরের এই জ্ঞান সমৃদ্ধ তথ্যে যে কারোর নেশা বদলাবার নয়, ছাড়বার নয়, তা বলাই বাহুল্য। তার চেয়ে বরং নিজের জেনারেল নলেজ উন্নত করুন। আচ্ছা বলুন তো সিগারেটকে বাংলায় কি বলে
জানি বলবেন যে সিগারেট তো সিগারেট-ই। যেমন বাংলা ভাষায় মিশে গিয়েছে চেয়ার, টেবিল, ফ্যান...ইত্যাদি শব্দ। তেমনই সিগারেট শব্দই বহুল প্রচলিত।
আপনি যদি এই উত্তরটাই দেন, তবে বলব ভুল বলছেন। সিগারেটেরও একটা বেশ ভারি ভারিক্কি নাম রয়েছে বাংলায়। যদিও সে নামে তাকে কেউই ডাকে না। তবু তো রয়েছে! কি বলুন।
সিগারেটকে বাংলায় বলা হয় "ধূমপান দণ্ড"। আসলে কিছু কিছু শব্দ রয়েছে যা আমরা মূলত ইংরেজিতে বলেই অভ্যস্ত। এমনকি তার বাংলা অর্থ কি তা বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা। কিন্তু তাই বলে কি সেইসব শব্দগুলির কোনও বাংলা নেই? তা নিশ্চই নয়। আসলে ব্যবহারের অভাবে সেইসব বাংলা শব্দ আজ হারিয়ে গিয়েছে।