সংক্ষিপ্ত
বিশালাকার একটি মাছ ধরেছেন কানাডার এক মৎস্যজীবী, যাকে দেখে যেন মনে হচ্ছে বিশাল আকৃতির একটি ডাইনোসর। এই মাছ আসলে একটি স্টার্জন, যা আয়তনে প্রায় ১০.৫ ফুট। মাছটিকে তিনি ‘জীবন্ত ডাইনোসর’ বলে উল্লেখ করেছেন।
জুরাসিক পার্ক (Jurassic Park) দেখে সবারই ডাইনোসর (Dinosaurs) নিয়ে একটা আন্দাজ তৈরি হয়েছে। বাস্তবে সেই প্রাণীদের অস্বিত্ব ছিল কয়েকশো বছর আগে। তবে এখন তাদের আর কোনও অস্বিত্ব নেই। শুধুমাত্র গল্প আর ইতিহাস বইতেই তাদের দেখা পাওয়া যায়। অবশ্য তাদের অস্বিত্ব সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। আর এবার সেই দৈত্যকার মাছের দেখা মিলল কানাডায়।
বিশালাকার একটি মাছ ধরেছেন কানাডার (Canada) এক মৎস্যজীবী, যাকে দেখে যেন মনে হচ্ছে বিশাল আকৃতির একটি ডাইনোসর। এই মাছ আসলে একটি স্টার্জন (Sturgeon), যা আয়তনে প্রায় ১০.৫ ফুট। মাছটিকে তিনি ‘জীবন্ত ডাইনোসর’ (Living Dinosaur) বলে উল্লেখ করেছেন। আর এই বিরাট মাছটিকে ধরার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তবে সেই মাছকে হাত দিয়ে তোলা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। পাড়ের কাছ থেকে মাছটিকে ধরে আবার গভীর জলের মধ্যে ছেড়ে দিতে দেখা গিয়েছে ওই মৎস্যজীবীকে।
আরও পড়ুন- একেই বলে ডেস্টিনি, ২৫ বছর আগের সহপাঠী, ডেটিং অ্যাপের দৌলতে আজকের সুখী দম্পতি
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই কানাডিয়ান মৎস্যজীবীর নাম ইয়েভেস বিসন। তিনি নিজেকে একজন ‘স্টার্জন গাইড’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জানিয়েছেন, আগেও তিনি স্টার্জন দেখেছেন। কিন্তু, এত বড় স্টার্জন এর আগে কোনও দিনই তিনি দেখেননি। তাঁর দেখা বড় মাছের মধ্যে এটিই প্রথম স্থানে রয়েছে। আর সেই মাছকে গভীর জলের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও লড়াই করছেন তিনি। কারণ মাছটি এতটাই বড় যে তাকে দুই হাতেও ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। জলের মধ্যে ভাসিয়ে ভাসিয়েই তাকে নিয়ে যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন- রহস্যে ভরা এই মন্দির, কখনও নেভে না শিখা - সোনার ছাতা নিবেদন করেছিলেন সম্রাট আকবর
ভিডিয়োতে ইয়েভেস বলছেন, "এই মাছটি প্রায় সাড়ে ১০ ফুটের, ওজন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ পাউন্ডের কাছাকাছি।" টুইটারে রাজীব নামে এক ব্যক্তি এই ভিডিওটি শেয়ার করেন। তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, "কানাডায় ২৫০ কেজি ওজনের স্টার্জন ধরা পড়েছে। দৈত্যকার মাছটি ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় বন্দি হয়েছিল। পরিমাপ করার পরে RFID ট্যাগ দিয়ে মাছটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাছটির বয়স ১০০ বছরেরও বেশি।"
স্টার্জন মাছ বিশেষজ্ঞ ইয়েভেসের দাবি, প্রাণীটি কানাডার ফ্রেজার নদীতে বাস করে এবং এই প্রাণীটি সম্ভবত এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে রয়েছে। এই মাছটি ধরে পরিমাপ করার পরে একটি আরএফআইডি চিপ দিয়ে ট্যাগ করে তাকে মুক্ত করা হয়। তবে এই মাছ একেবারেই বর্তমান যুগের নয়। এই আদিম মাছের ২৯টি প্রজাতি রয়েছে। যা ট্রায়াসিক সময়কালে (২৪৫-২০৮ মিলিয়ন বছর আগে) জীবাশ্ম রেকর্ডে প্রথমবারের মতো দেখা গিয়েছিল।