সংক্ষিপ্ত
মাতৃদুগ্ধ শিশুর পুষ্টির (Nutrition) অমূল্য উৎস। দুধ থেকে বাচ্চার করোনা সংক্রমণ হতে পারে, এমন প্রমাণ নেই। তবে, করোনা আক্রান্ত মায়েদের ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
মা পজেটিভ হলে কি বাচ্চাকে মাতৃদুগ্ধ (Brest Milk) পান করানো যায়। এই প্রশ্ন বহুবার শোনা গিয়েছে। ডাক্তার করোনা (Corona) আক্রান্ত মাকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর নির্দেষও দিয়েছেন বহু বার। তা সত্ত্বেও মনে একটা ভয় কাজ করে। সদ্যজাত বাচ্চার করোনা আক্রান্ত হোক তা কোনও মা-ই চান না। এদিকে বাচ্চার পুষ্টির জন্য মাতদুগ্ধ খাওয়ানো খুবই প্রয়োজন। বেশ কিছুদিন ধরে এই বিষয় গবেষণা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোনিয়ার (University Of California) পক্ষ থেকে একটি গবেষণা করা হয়। সেখানে ১১০ জন মহিলার ওপর সার্ভে হয়। করোনা আক্রান্ত মহিলার বুকের দুধ পরীক্ষা হয়েছে। সঙ্গে বাচ্চাদের পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্রেস্ট মিল্কে কোনও রকম ভাইরাস নেই। ফলে, নিশ্চিত যে বুকের দুধ থেকে ভাইরাস সংক্রমণ হয় না।
মাতৃদুগ্ধ শিশুর পুষ্টির (Nutrition) অমূল্য উৎস। এ প্রসঙ্গে গবেণষকরা জানিয়েছে, কোভিড ১৯ আক্রান্ত মায়েদের বুকের দুধে ভাইরাস মেলেনি। ফলে, দুধ থেকে বাচ্চার করোনা সংক্রমণ হতে পারে, এমন প্রমাণ নেই। তবে, করোনা আক্রান্ত মায়েদের ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
- প্রথমত, বাচ্চাকে ধরার আগের ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরও হ্যান্ড স্যানিটাইজার (Sanitizer) ব্যবহার করুন। হাতে যেন কোনও রকম জীবাণু না থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখুন।
- মুখে মাস্ক পরা সবার আগে দরকার। এন৯৫ মাস্ক (Mask) পরুন। প্রয়োজনে দুটো মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক না পরে বাচ্চাকে ধরবেন না। সম্ভব হলে মুখে শিল্ড লাগিয়ে নিন ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময়।
- ব্রেস্ট ফিডিং-এর পর বাচ্চার পোশাক পরিবর্তন করুন। সঙ্গে তার হাত, পা, মুখ জীবাণু মুক্ত করার প্রয়োজন। খেয়াল রাখবেন ভুলেও যেন আপনার থেকে কোনও রকম ভাইরাস বাচ্চার শরীরে প্রবেশ না করেন।
- আপনিও পরিষ্কার পোশাক পরে তবেই বাচ্চাকে ধরবেন। ব্রেস্ট ফিডিং (Breast Feeding) করানোর আগে পোশাক বদলে নিন। পোশাকে অনেক সময় জীবাণু থেকে যেতে পারে, তার থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়, তাই সাবধান থাকার প্রয়োজন।
- করোনা পজেটিভ থাকার সময় ভুলেও বাচ্চাকে ভালোভাবে স্পর্শ করবেন না। মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর জন্য যতটুকু স্পর্শ করলে নয়, ততটুকুই স্পর্শ করুন।